Malda: মুদি দোকানের সামনে বসে এনুমারেশন ফর্ম বিলি! BLO-র বিরুদ্ধে উঠল হুমকিরও অভিযোগ
Malda BLO: অভিযোগ, পাচলা বুথের বিএলও মোস্তাদ প্রথম ও দ্বিতীয় দিন মুদিখানার সামনে বসে ফর্ম বিতরণ করেছেন বিএলও মোস্তাদ হোসেন। ফর্ম নিতে সেখানে শতাধিক মানুষ ভিড় জমান। প্রচুর উদ্বিগ্ন ভোটারের ভিড় জমে যাওয়ায় শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।

মালদহ: মুদিখানার দোকানের সামনে তৃণমূল কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ফর্ম বিলি করছেন বিএলও। অভিযোগ উঠেছে তেমনই। ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামবাসীদেরই মোবাইলে তোলা সেই ছবি। অভিযোগ, গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে, তাঁদেরও পাল্টা হুমকি দেন বিএলও। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাচলা ৩৬ নং বুথে। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ প্রক্রিয়া। অভিযোগ, পাচলা বুথের বিএলও মোস্তাদ প্রথম ও দ্বিতীয় দিন মুদিখানার সামনে বসে ফর্ম বিতরণ করেছেন বিএলও মোস্তাদ হোসেন। ফর্ম নিতে সেখানে শতাধিক মানুষ ভিড় জমান। প্রচুর উদ্বিগ্ন ভোটারের ভিড় জমে যাওয়ায় শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। কিছু গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে তাঁদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে উলটে হুমকি দেন বিএলও মোস্তাদ হোসেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোদ, বিএলও আবার হুমকি দেন, “বিডিও, এসডিও, ডিএম, মন্ত্রী যার কাছে খুশি তাঁর নামে অভিযোগ গিয়ে কর।” প্রকাশ্যেই তিনি বলেন, বিধি ভাঙলে বুঝে নেবেন তিনি নিজেই।
এর আগেও একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বিএলও-র নিয়মভাঙার চিত্র। কোথাও বাড়িতে বসেই, কোথাও আবার চায়ের দোকানের সামনে বসে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করার অভিযোগ উঠেছে বিএলও-দের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মালদহ উত্তরের বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অভিষেক সিংহানিয়া বলেন, “বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করার কথা। কিন্তু দেখছি মুদিখানা দোকানের সামনে টেবিল পেতে ফর্ম বিলি করছেন।” লিখিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের সহ সভাধিপকি রফিকূল ইসলাম বলেন, “বিএলও-দের কি মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটেছে। নির্দেশে তো স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক বিএলও-কে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে! আর বিজেপির লোক তো যত পারছে তৃণমূলের বদনাম করছে। “
