Summer vacation: তীব্র গরমে কি মর্নিং শিফটে স্কুল হবে? আবেদন গেল শিক্ষা দফতরের কাছে
School news: গত ৩ রা জুন পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন একটি চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ইচ্ছেমতো সিফট বদলে দেওয়া যাবে না। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা জেলা শিক্ষা দফতর ইচ্ছে করলেই দুপুরের স্কুল সকালে বা সকালের স্কুল দুপুরে করতে পারবে না, যতক্ষণ না বোর্ড অনুমতি দেয়।

মালদহ: তীব্র গরমে ভয়াবহ পরিস্থিতি। একের পর এক স্কুলে অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী অসুস্থ। বিশেষ করে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রতিদিন একাধিক ছাত্র ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অসুস্থ হচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষিরাও। মালদায় নাজেহাল শিক্ষকরা। উদ্বিঘ্ন জেলা শিক্ষা দফতর। মালদা জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে সঙ্কটজন পরিস্থিতিতে রাজ্য শিক্ষা দফতরকে দ্রুত সকালে স্কুল করার আবেদন জানাল মালদা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
গত ৩ রা জুন পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন একটি চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ইচ্ছেমতো সিফট বদলে দেওয়া যাবে না। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা জেলা শিক্ষা দফতর ইচ্ছে করলেই দুপুরের স্কুল সকালে বা সকালের স্কুল দুপুরে করতে পারবে না, যতক্ষণ না বোর্ড অনুমতি দেয়। যদিও আবহাওয়া বা অন্যান্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এতদিন শিফট বদলে দিত জেলার শিক্ষা দফতর বা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কারণ এক একটি জেলায় এক এক রকম আবহাওয়া বা তাপমাত্রা থাকে। জেলার মধ্যেও বিভিন্নতা থাকে। কিন্তু বোর্ডের এই নির্দেশের পরে একের পর এক স্কুলে গড়ে ৭ থেকে ৮ ছাত্র ছাত্রী রোজ অসুস্থ হয়ে পড়লেও মর্নিং স্কুল করতে পারছে না মালদা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তাই বাধ্য হয়ে রাজ্যকে চিঠি করল সংসদ।
এদিকে কখন নির্দেশ আসবে বা আদৌ আসবে কি না এই দ্বন্দে শিক্ষা দফতর। এই অবস্থায় স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গ্লুকোজ, ওআরএস ইত্যাদি খাওয়াতে হবে তাও আবার ব্র্যান্ডেড। এদিকে এই নির্দেশে বেকায়দায় শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, একে তো গরমে নাজেহাল দশা, তার মধ্যে এই নির্দেশ। মলয় মন্ডল, ডি আই, (প্রাইমারি) মালদা বলেন,”স্কুল খোলার পর আবহাওয়া বদলেছে। সেই জন্য খবর আসছে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই গতকালই মর্নিং শিফট করতে চেয়ে আবেদন করেছি। বোর্ড অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত সেটা তো করা সম্ভব নয়।”





