TMC and BJP: চোখে-মুখে আনন্দের ছাপ, মারাত্মক উল্লাস! মালদহে ‘বড় জয়’ BJP-র
Malda: বিজেপি নেতা তারক ঘোষ-অমর ঘোষরা বলেন, "যোগদানকারীরা তৃণমূলে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। কারণ তৃণমূল মানেই দুর্নীতি। আর যোগদানকারী তৃণমূল নেতা কর্মীরা এসব না মানতে পেরেই আজ বিজেপিতে যোগদান করলো।"

মালদহ: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শক্তি বাড়িয়ে নিচ্ছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। এ রাজ্যে ইতিমধ্যে এসে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। অপরদিকে, সদ্যই উত্তরবঙ্গ থেকে ঘুরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহের মধ্যেই এবার মালদহে কার্যত বড় জয় পেয়ে গেল বিজেপি। সেখানে গেরুয়া শিবিরের ঘাঁটি আরও শক্ত হল। কারণ, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে তৃণমূলের বেশ কিছ নেতা সহ শতাধিক কর্মী।
মালদার বৈষ্ণবনগরে তৃণমূলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের জেলার কয়েক জন পদাধিকারী নেতা সহ বিজেপিতে যোগ দিলেন শতাধিক কর্মী। বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিজেপির এক নম্বর মণ্ডল সভাপতি অমরনাথ ঘোষের নেতৃত্বে বৈষ্ণব নগরে এই যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ রায়, উজ্জ্বল দত্ত, তারক ঘোষ, শ্যামলী রজক, বিধান মণ্ডল সহ আরও অনেকে।
বিজেপি নেতা তারক ঘোষ-অমর ঘোষরা বলেন, “যোগদানকারীরা তৃণমূলে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। কারণ তৃণমূল মানেই দুর্নীতি। আর যোগদানকারী তৃণমূল নেতা কর্মীরা এসব না মানতে পেরেই আজ বিজেপিতে যোগদান করলো।” দলবদলু এক কর্মী বলেন, “আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদে ছিলাম। সেটা ছাড়ার একটাই কারণ, যেভাবে তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য শিক্ষকদের চাকরি চলে গেল ভুলতে পারব না। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখতে আমরা এসেছি।” এখানে উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা মালদহ ও মুর্শিদাবাদ। আর সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক বরাবরই তৃণমূলের বলে দাবি করে থাকে বিজেপি। যদিও, মালদহে সেই অর্থে দাগ এখনও কেটে উঠতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। এক সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছিলেন, “ভোটে দিতে মালদহের আম আমায় দেবেন তো?” তবে গত লোকসভা ভোটেও মালদহ উত্তর থেকে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আর মালদহ দক্ষিণ গিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। এই পরিস্থিতি এতজন তৃণমূল নেতা কর্মীর বিজেপিতে যোগদান যে বিজেপির জয়ের পথ আরও সুগম করছে তা এক কথায় মানছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 
