AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda : নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ, বেহুঁশ অবস্থায় উদ্ধার কুঁড়েঘরে

Malda : নাবালিকার মুখে সব শোনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা।

Malda : নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ, বেহুঁশ অবস্থায় উদ্ধার কুঁড়েঘরে
প্রতীকী চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2022 | 5:24 PM
Share

মালদা: রাতে বাড়ির বাইরে শৌচকর্ম করতে বেরিয়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, তাদের বাড়ির বাইরে ওত পেতে বসেছিল এলাকার যুবক। বাইরে বেরোতেই মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। অভিযোগ, এলাকা থেকে কিছুটা দূরে একটি আমবাগানে কুঁড়েঘরের মধ্যে আটকে রাখে। চলতে থাকে পাশবিক নির্যাতন। ধর্ষণও করা হয় বেশ কয়েকবার। যুবকের নারকীয় অত্যাচারেই শেষে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে নাবালিকা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) মানিকচক থানা এলাকায়। 

এদিকে নাবালিকার দীর্ঘক্ষণ খোঁজ না মেলায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। তবে দীর্ঘক্ষণ খোঁজ মেলেনি। বাড়তে থাকে উদ্বেগ। ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় ওই এলাকায়। নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, যে সময় তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তা দেখে ফেলেছিলেন স্থানীয় এক মহিলা। তিনিই শেষে ওই কুঁড়েঘরের মধ্য়ে নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেন নির্যাতিতার পরিবারে। গুরুতর আহত অবস্থায় ১৫ বছরের ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে জ্ঞান ফিরতে মা-বাবার কাছে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলে নির্যাতিতা। কীভাবে প্রতিবেশী যুবক তার উপর নির্যাতন চালিয়েছে তার সম্পূর্ণ বিবরণ দেয়। এরপরই অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি গিয়ে ঘটনার কথা জানতে চাইলে তিনি তা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের। 

নাবালিকার মুখে সব শোনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেন, “রাত ১২টার সময় মেয়ের বাড়ির লোকজন আমার কাছে এসে জানায় মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরই আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। দীর্ঘক্ষণ কোনও খোঁজ মেলেনি। শেষে গ্রামেরই একটা বাগানে একটা কুঁড়েঘরের মধ্যে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।” অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের দাবি, অভিযুক্তের সঙ্গে নাবালিকার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যাতেও তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। যদিও অভিযুক্ত যুবক এখনও গ্রেফতার হননি।