Malda: শ্বশুরের ‘কালাজাদু’তেই দিনে দিনে শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছিল, গভীর রাতে তাই শাশুড়িকেও ছাড়লেন না জামাই!
Malda: মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশলপুরের ঘটনা। মৃত বৃদ্ধের নাম জসিমউদ্দিন। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত। খুনের প্রকৃত কারণ কী, আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মালদহ: খুনের পিছনে কালাজাদু! গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার জামাই। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দুজনকেই ধারাল অস্ত্রে পরপর নৃশংসভাবে কোপের পর কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। বৃদ্ধের মৃত্যু হয়, বৃদ্ধা এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। পরিবারের দাবি, খুনের হুমকি দেওয়া হত বারবার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জামাইয়ের সন্দেহ ছিল, শ্বশুর-শাশুড়ি কালাজাদু বা পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কালা জাদু করে তাঁকে অসুস্থ করে দিচ্ছেন বলে সন্দেহ ছিল জামাইয়ের।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশলপুরের ঘটনা। মৃত বৃদ্ধের নাম জসিমউদ্দিন। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত। খুনের প্রকৃত কারণ কী, আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনে ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। অন্যদিকে, জসিমউদ্দিনের স্ত্রী সাহানা এখনও মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার গভীর রাতে কুশলপুরের বাসিন্দা জসিমউদ্দিন এবং স্ত্রী সাহানাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। মৃত্যু হয় জসিমউদ্দিনের। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারপরই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে প্রথমপক্ষের স্ত্রী’র ছোট মেয়ের স্বামী মোজাম্মেল হক। চাঁচলের শিহিপুর থেকে গ্রেফতার হয় মোজাম্মেল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জসিমউদ্দিনের দুটি বিয়ে ছিল। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ছোট জামাই এই মোজাম্মেল। বেশ কিছুদিন ধরে শ্বশুরের সঙ্গে তাঁর বিবাদ চলছিল বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর সন্দেহ ছিল, শ্বশুর ওঝা গুনি, কালাজাদু করে তাঁর শরীর অসুস্থ করে দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই বিবাদ চলছিল। তারপর এই ঘটনা। তবে এটাই শুধুমাত্র কারণ নাকি ভিতরে রয়েছে আরও বড় রহস্য। খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।