প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকায় গৃহনির্মাণ তৃণমূল নেতার! প্রতিবাদ দলের সতীর্থদের

TMC Clash: অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকার জমি দখল করে ঘর বানাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। খবর পেয়ে দলের অন্য নেতৃত্বরা তাঁকে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকায় গৃহনির্মাণ তৃণমূল নেতার! প্রতিবাদ দলের সতীর্থদের
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2021 | 3:43 PM

মালদা: নির্বাচন মিটতেই ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। সরকারি জমি দখল করে বেআইনিভাবে ঘর বানামোর অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকার জমি দখল করে ঘর বানাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল (TMC) নেতা। খবর পেয়ে দলের অন্য নেতৃত্বরা তাঁকে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে বলেন। এই নিয়ে প্রকাশ্য হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে  মালদার তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে।

তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত উপপ্রধান আব্বাস আলি ও হরিশচন্দ্রপুর তৃণমূল হিন্দিভাষী সেলের সভাপতি রমেশ গুপ্তের অভিযোগ, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্তোষ রায় রাস্তা লাগোয়া সরকারি জমিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকায় অবৈধ নির্মাণকার্য চালাচ্ছিলেন। রবিবার সকালে, সন্তোষ রায়ের বাড়িতে এসে প্রতিবাদ করতেই পাল্টা বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ।

তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্বাস আলির কথায়, “সন্তোষকে আগেও বারণ  করা হয়েছিল। যে ওই জমিতে নির্মাণকার্য চালানো যাবে না। কয়েক কোটি টাকা এভাবে নষ্ট করা যাবে না। সেইজন্যই আমরা আজ বারণ করতে যাই। কিন্তু সন্তোষ পাল্টা আমাদের উপর চোটপাট করে। তৃণমূল বিজেপি বড় কথা নয়, মানুষ বড় কথা। মানুষের জন্যই ওই জমি। সরকারি জমিতে এভাবে নির্মাণকার্য চালানো বৈধ নয়।” পাল্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি বৈধভাবেই ঘর তৈরি করেছেন। ওই জমিটিও তাঁরই। তৃণমূলের অন্য নেতারা ইচ্ছে করে অসুবিধা তৈরি করেন। সন্তোষবাবু এদিন বলেন, “আমরা বংশপরম্পরায় এখানে রয়েছি। আমার বাবা-কাকারাও এখানেই থাকতেন। এই দুই কাঠা জমি আমারই। তৃণমূল করি। সাবসিডি পাওয়া যায়। তাই ঘর বানাচ্ছি।”

পুলিশ সূত্রে খবর,  দুই তরফের বয়ানই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত করা হচ্ছে। যে জমিতে নির্মাণকার্য চলছে তা সরকারি জমি কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, প্রশ্ন উঠছে, সরকারি জমিতে কী করে এতদিন নির্মাণকার্য চলছিল? কেই বা সেই নির্মাণকার্যের অনুমতি দিলেন? ঘটনায় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  আরও পড়ুন: ‘বিজেমূল স্লোগানে ভুল নেই’, সূর্যকান্তের ‘বিরুদ্ধ সুর’ সুশান্তের!