Malda: জমি বিবাদের জেরে তৃণমূল কর্মীকে একের পর এক হাঁসুয়ার কোপ, কাঠগড়ায় কংগ্রেস নেতা

Malda: পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শঙ্কর দাস এলাকায় দাপুটে কংগ্রেস নেতা হিসাবে পরিচিত। তাঁর সঙ্গেই ১৬ শতক জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল রামচন্দ্র দাসের।

Malda: জমি বিবাদের জেরে তৃণমূল কর্মীকে একের পর এক হাঁসুয়ার কোপ, কাঠগড়ায় কংগ্রেস নেতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2022 | 7:21 PM

মালদা: তৃণমূল কর্মীকে হাঁসুয়ার কোপ। অভিযোগের তীর এলাকার কংগ্রেস কর্মীর (Congress Leader) দিকে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তৃণমূল কর্মী(Trinamool Leader)। তিনি আবার স্থানীয় একটি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের হরদম নগরে। সূত্রের খবর, তৃণমূল কর্মী রামচন্দ্র দাস (৫৫) হরদমনগর জুনিয়র হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গেই দীর্ঘদিন থেকে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল প্রতিবেশী শঙ্কর দাসের। 

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শঙ্কর দাস এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসাবে পরিচিত। তাঁর সঙ্গেই ১৬ শতক জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল রামচন্দ্র দাসের। সূত্রের খবর, এদিন আচমকা রামচন্দ্রকে রাস্তায় একা পেয়ে ঘিরে ধরে শঙ্কর দাস ও তাঁর দলবলেরা। হাঁসুয়া দিয়ে লাগাতার কোপও মারা হয়। এদিকে অতর্কিত আক্রমণের পর চিৎকার করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রামচন্দ্র। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের আসতে দেখেই এলাকা ছাড়িয়ে পালিয়ে যায় আক্রমণকারীরা। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করে। 

এদিকে এ ঘটনার পরেই জনের নামে ভালুকা ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেছেন জখম রাম চন্দ্র দাসের ছেলে সৌভিক দাস। অভিযোগ হাতে পেয়ে ৩ জনকে গ্ৰেফতার করেছে ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক সভাপতি আব্দুল শোভান বলেন, “রামচন্দ্র আমাদের তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। শুনেছি কংগ্রেস আশ্রিতরাই হাঁসুয়া মেরেছে। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। আইন আইনের পথে চলবে। তৃণমূল কংগ্রেস এসব কাজ বরদাস্ত করবে না। যদি কংগ্রেসীরা মেরে থাকে তাহলে আমরা পুলিশকে আমরা কড়া বার্তা দেব। তৃণমূল এসব অন্যায় বরদাস্ত করবে না। আমাদের দলের লোককে কেউ অন্যায়ভাবে মারবে আমরা তা মেনে নেব না।” কংগ্রেস নেতা তথা অঞ্চল সভাপতি আব্দুস শোভান বলেন, “আমরা ঘটনার কথা শুনেছি। তবে ওই মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে এলাকার অনেকেরই ঝামেলা হয় বলে শুনেছি। এ ঘটনা তৃণমূলের নিজেদের মধ্যেই ঘটেছে। কংগ্রেসের কেউ এর সঙ্গে জড়িত নয়। গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।”