University of Gour Banga: বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে গলা কেটেছিল ছাত্রীর, অভিযুক্তকে ‘সন্তানসম’ আখ্যা দিয়ে রেজিস্ট্রার বললেন, ‘পকেটে ছুরি নিয়ে ঢুকলে কী করব?’
Gour Banga: এ দিন রেজিস্ট্রার নিজেও স্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা খারাপ রয়েছে। তবে এও জানিয়েছেন বহিরাগত কেউ যদি পকেটে চাকু নিয়ে ঢোকে তাহলে কীভাবে তা জানা যাবে? তিনি বলেন, "এটা অবাঞ্ছনীয় ঘটনা। আগে আমরা চেক করতাম। আজ নিজে এসে দাঁড়িয়েছি।"
মালদহ: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ছুরি দিয়ে গলা কাটার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল ক্রমাগত। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদও অভিযোগ তুলেছিল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়ে। এবার নড়েচড়ে বসল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাড়ানো হল নজরদারি। শুধু তাই নয়, খোদ রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস নিজে গেটে দাঁড়িয়ে পরিচয় পত্র দেখছেন পড়ুয়া ও কর্মীদের। তারপরই ভিতরে প্রবেশের অনুমতি মিলছে।
এ দিন রেজিস্ট্রার নিজেও স্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা খারাপ রয়েছে। তবে এও জানিয়েছেন বহিরাগত কেউ যদি পকেটে চাকু নিয়ে ঢোকে তাহলে কীভাবে তা জানা যাবে? তিনি বলেন, “এটা অবাঞ্ছনীয় ঘটনা। আগে আমরা চেক করতাম। আজ নিজে এসে দাঁড়িয়েছি। আর এটা কিন্তু বহিরাগত কেউ করেনি। যে পাস আউট হয়েছে সে তো আমাদেরই সন্তান। তার তো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দরকার থাকতেই পারে। সে গবেষণা করতে পারে, পেপার লিখতে পারে, ওর ল্যাবে দরকার থাকতে পারে। ও যদি এসে বলে আমি ল্যাবে যাব। নিরাপত্তারক্ষী তখন কী করবে? মুখটা চেনা। সে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে দুবছর কাটিয়েছে। সব পকেট চেক করা যায়? সে যদি ছুরি নিয়ে ঢোকে কী করব?”
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর গলা কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এরপর ছুরি দিয়ে তিনি নিজেও নিজের গলা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় উভয়ই আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দু’জনই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।