ভিডিয়ো: কংগ্রেসে যোগ দিয়েই চটুল নাচে টাকা ওড়ালেন সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল নেতা, সঙ্গ দিলেন পুরনো সতীর্থরাও
TMC Leader: প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চাঁচল ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন। যার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
মালদা: কয়েকদিন আগেই তৃণমূল (Trinamool Congress) থেকে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে (Congress)। যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে বিস্তর শোরগোলও হয়েছিল। সেই নেতাকেই এবার প্রকাশ্য মঞ্চে চটুল নাচে কোমর দোলাতে দেখা গেল নর্তকীর সঙ্গে। অন্যদিকে, তাঁর নাচ দেখে আবার আনন্দে মাতোয়ারা তাঁর পুরনো সতীর্থ তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য তথা এলাকার তৃণমূল নেতা। দিচ্ছেন হাততালিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়ো। দুই নেতার এই কর্মকাণ্ডে অস্বস্তি বেড়েছে দুই দলেরই।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁচল ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন। সেই সময় দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছিলেন। তাঁকেই এবার প্রকাশ্য মঞ্চে চটুল গানে কোমর দোলাতে দেখা গেল নর্তকীর সঙ্গে। ওড়ালেন টাকা। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল (Viral Video) হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে জোর তরজা চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
#Watch: প্রকাশ্য মঞ্চে চটুল নাচের আসর। আর সেখানেই তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতা কোমর দোলাচ্ছেন, ওড়াচ্ছেন টাকা।
সব খবর: https://t.co/Z9cGg0kjDs#Trinamool | #Congress pic.twitter.com/OK7ByZUkBa
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) June 1, 2023
ওই ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে সেই সময় আবার ওই আমোদ-অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম। পুরনো সতীর্থ আলী হোসেনের নাচ দেখে হাসি-মজায় ভাসলেন। দিলেন করতালি। এদিকে এ ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতর শুরু হতেই ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি অমিতেশ পাণ্ডে বলেন, “আমাদের দল রুচিশীল দল। সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিরা এখানে রয়েছেন। ওনার এই সব কাজের কারণেই দলের সঙ্গে ওনার দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল। এরমধ্যেই তো উনি কংগ্রেসে যোগ দিলেন।” যদিও আলী হোসেনের সাফাই, ওটা তাঁর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই আনন্দে মেতেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, “এখন কংগ্রেসের যোগ দিয়েছি। তাই তৃণমূল এইসব সামনে এনে বদনাম করার চেষ্টা করছে।” অন্যদিকে জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম সামিউল ইসলাম আবার বলছেন, বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল তাঁর। সেখানেই গিয়েছিলেন।