শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগাল জামাই! মেরে ছিঁড়ে দিল স্ত্রীর কান
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রিনা খাতুনের সঙ্গে শেখ রফিকুলের বিয়ে হয়েছিল ১১ বছর আগে। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বিবাদের রফিকুল জেরে স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে মেরে রিনার কান ছিঁড়ে নেয়। এবং গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দিয়ে খুন করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তখন প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে রিনাকে তাঁর বাপের বাড়িতে দিয়ে যান।
মালদা: মারধর করে স্ত্রীর কান ছিঁড়ে দিয়েছিলেন। গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছিলেন। তাই দেখে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে স্ত্রীকে রেখে এসেছিলেন বাপের বাড়িতে। স্ত্রীর উপর নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল স্বামীকে। থানায় থেকে ছাড়া পেয়েই শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। আগুনের জেরে গোটা বাড়ি পুড়ে ছায় হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মালদার মানিকচক ব্লকের চৌকি মিরদাদপুর অঞ্চলের করিটোলা এলাকায় ঘটেছে ঘটনা। ঘটনা নিয়ে মানিকচক থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। আগুন লাগানোয় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শেখ রফিকুল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রিনা খাতুনের সঙ্গে শেখ রফিকুলের বিয়ে হয়েছিল ১১ বছর আগে। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বিবাদের রফিকুল জেরে স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে মেরে রিনার কান ছিঁড়ে নেয়। এবং গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দিয়ে খুন করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তখন প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে রিনাকে তাঁর বাপের বাড়িতে দিয়ে যান। ওই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল রফিকুলকে। ওই মামলায় জামিন পেতেই শ্বশুরবাড়ির উপর চড়াও হন রফিকুল। পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি।
এ বিষয়ে রিনা খাতুন বলেছেন, “আমার স্বামী পরিবারের আমাকে প্রায় মারধর করে। নিয়মিত মদ খায়। বৃহস্পতিবার রাতে আমার কান টেনে ছিঁড়ে গলার গামছা দিয়ে আমাকে ফাঁস লাগাতে গিয়েছিল। আশপাশের লোকেরা উদ্ধার করে আমাকে মায়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ও থানা থেকে ছাড়া পেয়ে চুপিসারে আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমার মায়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”
এই বিষয়ে রিনার দাদা শেখ সন্টু আলির বলেছেন, “আমাদের জামাই আমার বোনকে প্রায় মারধর করে। বোনের বিড়ি বাঁধার টাকা নিয়ে মদ খায়। আমার বোনকে মারধরের পাশাপাশি আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। সব কিছু পুড়ে গিয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। অপরাধীর শাস্তি চাইছি।”