TV9 বাংলা ডিজিটাল: কালীপুজোর আগের রাতে বালুরঘাটে (Balurghat) খুনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা (Bacchu Hansda)। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুর থানার নয়াবাজারে দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রাণ হারায় টিঙ্কু বর্মন (২১)। এই ঘটনার সমালোচনা করে তিনি বলেন,”গঙ্গারামপুর ও আশেপাশের অঞ্চলে অসামাজিক কার্যকলাপ (Anti-social activity) বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিস-প্রশাসনকেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।”
অষ্টম শ্রেণি পাশ টিঙ্কুর এলাকার ‘দাদা’দের সঙ্গে ওঠা-বসা ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিদার থেকে ১০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সে, বন্ধুদের সঙ্গে ক্লাবের চাঁদা তুলতে বিভিন্ন বাড়িতেও ঘোরে। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে নয়াবাজার এলাকায় আচমকাই তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা এবং খুব কাছ থেকে বুক লক্ষ্য করে গুলি করে পালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় তাঁর দিদা দীপালি বর্মনকে। তিনি নাতির মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মৃত যুবকের মা-বাবার প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও তাঁর দিদা জানান, কারোর সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না টিঙ্কুর। প্রতিবেশীরা জানান, স্থানীয় গুন্ডাদের সঙ্গে মেলামেশা থাকায় প্রায়সই জুয়ার আসরেও যাতায়াত ছিল তাঁর। সেখানেই কোনও ঝামেলার কারণে টিঙ্কুকে খুন করতে পারে দুষ্কৃতীরা।
জেলার পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন,”রাত সাড়ে নটা নাগাদ দুষ্কৃতীরা টিঙ্কুকে গুলি করে। তাঁর গলায় ও ঘাড়ের কাছে গুলি লেগেছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোলও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেরার জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: পুকুরে মাছের বদলে উঠে এল ২০ কেজির কালী মূর্তি!
দক্ষিণ দিনাজপুরের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে এর আগেই সরব হয়েছিল বিরোধীরা। এবার শাসকদলের নেতাও দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বৃদ্ধির ঘটনা স্বীকার করে নিলেন। মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেন,”যেভাবে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে, তা সত্যিই অভাবনীয়। গঙ্গারামপুর ও তপনের সীমানায় সম্প্রতি অসামাজিক কাজকর্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। জুয়া ও মদের ঠেকও বসছে বিভিন্ন জায়গায়। অনেক সময়ই সেখানে বিবাদ এমনকি মারপিটের ঘটনা ঘটছে। অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের জন্য পুলিস প্রশাসনকেও তৎপর হতে বলা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: “আইনের চোখে যে পলাতক, সমাজের চোখেও সে পলাতক”, বিমল গুরুং প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রাজ্যপাল