Murshidabad: জেলে ঢুকিয়েও শান্তি নেই! ‘মামলা তুলুন’, ধর্ষণে অভিযুক্তের ফোন এল শ্রীঘর থেকেই
Murshidabad: বস্তুত, শিশুকন্যা ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব প্রায় শেষের পথে। দুই পুলিশ আধিকারিকের সাক্ষ্য হলেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হবে। এমন সময়ে সংশোধনাগার থেকে ফোনে নির্যাতিতার পরিবারকে অভিযুক্ত হুমকি দেওয়াই হইচই শুরু হয়েছে।

বহরমপুর: শিশুকন্যা ধর্ষণের অভিযোগে বহরমপুরে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন এক গৃহশিক্ষক। অভিযোগ, বর্তমানে সেই অভিযুক্তই সংশোধনাগারের ভিতর থেকে ফোন করে নির্যাতিতার মাকে হুমকি দিয়েছেন। এমনকী মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার সকালের ওই হুমকি ফোন পেয়ে মঙ্গলবার নির্যাতিতার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ দিকে, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ হঠাৎ তল্লাশি চালান। সংশোধনাগারের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বন্দি ছিলেন ওই অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, তল্লাশি চালাতে গিয়ে ওই গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করেছেন তিনি।
বস্তুত, শিশুকন্যা ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব প্রায় শেষের পথে। দুই পুলিশ আধিকারিকের সাক্ষ্য হলেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হবে। এমন সময়ে সংশোধনাগার থেকে ফোনে নির্যাতিতার পরিবারকে অভিযুক্ত হুমকি দেওয়াই হইচই শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার মোবাইল উদ্ধার নতুন কিছু নয়। মাঝে মধ্যে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মোবাইল উদ্ধার হয়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে মাদক পাচারের মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থাকা দুই বন্দির কাছে দুটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল। ফের সোমবার আর এক অভিযুক্তের কাছে থেকে মোবাইল উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে বারেবারে অভিযোগ আসার পর কেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সংশোধনাগার থেকে মোবাইল উদ্ধারের ঘটনায় মার্চের প্রথম সপ্তাহে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, “আপনারা জানেন, একটা সময় আমাকে খুন করাতে জেলের মধ্যে বন্দি থাকা এক আসামিকে বাইরের পুলিশ অফিসার ফোন করে যোগাযোগ করে। পরিকল্পনা করত কী করে অধীর চৌধুরীকে খুন করা যাবে। আমি এত বড় অভিযোগ করলাম।”





