Adhir Ranjan Chowdhury: বাংলা কংগ্রেসের ত্রিমূর্তি প্রিয়-সুব্রত-সৌমেন আর রইলনা না, চলে গেল !
Adhir Chowdhury on Subrata Mukherjee: "সুব্রতদা থাকা মানেই সেখানে আনন্দ হবে।"
মুর্শিদাবাদ: না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। দীপাবলির রাতে প্রদীপ নিভিয়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে এসেছে একের পর এক শোকবার্তা। বিরোধী থেকে শাসকদল। কেউ যেন মেনে নিতে পারছেন না ‘শান্ত মানুষটির’ চলে যাওয়া। শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি।
স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন,”আমি ভাবতেই পারছি না। ১ তারিখ গিয়েও হাসপাতালে দেখা করে এলাম। বেশ খোস মেজাজেই ছিলেন। অনেক গল্প করলেন আমার সঙ্গে। কিন্তু এমনটা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। কী খারাপ লাগছে। প্রিয়দা, সৌমেনদা, সুব্রতদা একে একে প্রত্যেকে চলে গেলেন। একটা প্রজন্ম শেষ হয়ে গেল বাঙলায়। বাঙলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি। ” কংগ্রেস দলনেতা আরও বলেন,”ওঁনার যোগ্যতা, বিচক্ষণতা এবং শত প্রতিকূলতার মধ্যেও হাসিখুশি থাকার এই গুণাবলীর কোনও তুলনা হয় না। এবং প্রত্যেককে হাসি-খুশি রাখার যে গুণাবলী তার কোনও তুলনা হয় না। সুব্রতদা থাকা মানেই সেখানে আনন্দ হবে, হাসির রোল উঠবে, গল্প হবে মজা হবে, সিরিয়াস কথাও হবে। এক বিচক্ষণ রাজনীতিবীদ ছিলেন তিনি । বাংলার কংগ্রেস রাজনীতির ত্রিমূর্তি ― প্রিয়, সুব্রত, সোমেন এক এক করে চলে গেল।” দুঃখ প্রকাশ করে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ” ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো।”
প্রসঙ্গত, আজ হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল বর্ষিয়ান এই রাজনৈতিক নেতার। কিন্তু তার আগেরদিনই না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন তিনি। কালীপুজোর রাতে গোটা রাজ্যে নেমে আসে অন্ধকার। প্রয়াত হন রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ৭৫ বছরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান।
সকাল ১০টা-দুপুর ২টো পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। দুপুর ২টো পর্যন্ত সেখানেই রাখা থাকবে দেহ। বিধানসভা হয়ে দুপুর ২টোর পর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। একডালিয়া ক্লাব হয়ে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে প্রয়াত রাজনীতিকের শেষ কৃত্য।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্য সরকার আজ, সরকারি কার্যালয়গুলিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকবিহ্বল মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারই তিনি বলেছেন, “সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।”
শোক প্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্বভাতীয় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এক রাজনৈতিক মহীরুহের পতন। মাননীয় সুব্রতবাবু স্বর্গীয় হয়েছেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি এবং ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি। সঙ্গে ওনার পরিবারের যাঁরা রয়েছেন ঈশ্বর তাঁদেরকে দুঃখ সহ্য কারার মতো শক্তি দিক এই প্রার্থনা করি। ”