Adhir Chowdhury on Bikaner-Guwahati Express Train Accident: ‘রেল ইঞ্জিনের সমস্যাটা ধামাচাপা পড়ে গেল, মানুষের মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি!’

Maynaguri Rail Accident: কিছুদিন আগেই সিআরএস-এর তদন্তে লোকো পাইলট এবং গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, ট্রেনের ইঞ্জিনে আগে থেকেই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। এমনকি, ট্রেনটিকে রানিনগরে দাঁড় করিয়ে পরীক্ষাও করা হয়।

Adhir Chowdhury on  Bikaner-Guwahati Express Train Accident: 'রেল ইঞ্জিনের সমস্যাটা ধামাচাপা পড়ে গেল, মানুষের মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি!'
বিকানের-গুয়াহাটি ট্রেন দুর্ঘটনায় রেল দুর্ঘটনা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2022 | 4:31 PM

জলপাইগুড়ি: দোমহনির ট্রেন দুর্ঘটনায় উঠে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ট্রেনের ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা দেখভালে ত্রুটি ছিল। রেলের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু তাই নয়, ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণেও ত্রুটি ছিল, তার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি। এ বার দোমহনির রেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার কথায়, “রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বিচারপতি দিয়ে তদন্ত করা হোক। আমরা তো আগেই আবেদন করেছি।  এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটল তা আমরা জানতে চাই। যাত্রী পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাধারণ যাত্রীরা। রেলের ইঞ্জিন নিয়ে সমস্যা ছিল। সেটা ধামাচাপা পড়ে গেল। মানুষের মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি! এই রাজনীতি মানব না।”

দোমহনির সেই রেল দুর্ঘটনায়,কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তদন্তে  উঠে এসেছে নানা তথ্য়। জানা গিয়েছে, সমস্যা ছিল প্রাথমিকভাবে রেলের ইঞ্জিনেই। রক্ষণাবেক্ষণের অভিযোগ আগে থেকেই তুলে আসছিলেন ইউনিয়নের সদস্যরা। রেল ইউনিয়নের একাধিক কর্তা ব্যক্তিরা এ নিয়ে সরবও হয়েছেন।

ইস্টার্ন রেল মেনস ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি অমিত ঘোষ বলেন, “সাধারণ যাত্রীদের জানিয়ে রাখি, রেলের নিজের বলে আর কিছু নেই। না আছে কর্মী, না আছে রক্ষণাবেক্ষণ। রেলের ড্রাইভার, গার্ড, স্টেশনমাস্টার, সিগন্যালম্যানের ডিউটির কোনও শেষ নেই। ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন তাঁরা। লোক নেই। না আছে ট্র্যাক মেইনটেইন করার সঠিক ব্যবস্থা। আসলে লোক নিয়োগ করেনি সরকার। ভোট নিয়োগের কথা ভেবেই লক্ষ লোক নিয়োগের কথা বলেছিল। কিন্তু সবই ধাপ্পাবাজি।”

দোমহনির দুর্ঘটনার জন্য রেলের পরিকাঠামোকেই দায়ী করেছেন তিনি। অন্যদিকে, নর্থ ফ্রন্টটিয়ার রেলওয়ে মজদুর ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি পরিতোষ পাল বলেন, “যান্ত্রিক ক্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলমন্ত্রীও প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সে কথা বলেছেন।”

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সিআরএস-এর তদন্তে লোকো পাইলট এবং গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, ট্রেনের ইঞ্জিনে আগে থেকেই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। এমনকি, ট্রেনটিকে রানিনগরে দাঁড় করিয়ে পরীক্ষাও করা হয়। সেই বিষয়ে স্টেশনের লগ বুকেও উল্লেখ করা রয়েছে। সেই লগ বুক টিসিআরএস নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে খবর সূত্রের।

প্রশ্ন ওঠে, যখন ইঞ্জিনে প্রথমেই সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তাহলে গার্ড এবং রেল চালক কীসের ভিত্তিতে রানিনগর থেকে ট্রেন নিয়ে রওনা দিলেন? কেন পরীক্ষার পরেও কেন রেক পরিবর্তন করা হল না? রানিনগরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে পরীক্ষা চলছিল। সেই পরীক্ষায় কি ইঞ্জিনের সমস্যা ধরা পড়েনি? কেনই বা ট্রেনের ট্র্যাকশন মোটর খুলে গেল? প্রশ্ন একাধিক। কিন্তু উত্তর এখনও অধরা। রানিনগরের ওই লগবুকে কী লেখা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে, আচমকাই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে উত্তরবঙ্গে। দুর্ঘটনার সময় ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে চলছিল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। দুর্ঘটনায় দেখা যায়, ট্রেনের বগিগুলো খেলনা গাড়ির মতো একে অপরের ওপর উঠে পড়েছে। এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মোট ৯ জন মারা যান। আহত হন প্রায় ৪৪ জন। তাঁদের  সকলকেই তৎক্ষণাৎ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন: Kolkata Police: সবচেয়ে সুরক্ষিত! তবুও প্রশ্ন, শহরজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে ব্যর্থ কলকাতা পুলিশ