AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Adhir Choudhury: ‘কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিকে খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছে’, বিস্ফোরক অধীর

Congress leader Adhir Choudhury: বাচ্চু মণ্ডল বলেন, "সরকারি একটি জায়গা দখল করে কেনাবেচা করছিলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে আমি বিডিও ও বিএলআরও-কে অভিযোগ জানাই। আমার অভিযোগ পাওয়ার পর বিএলআরও তদন্ত করে দেখেন, জায়গাটি সরকারের। এরপর ওখানে একটি বোর্ড বসানো হয়। যে বোর্ডটি তুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আবার আমি বিষয়টি বিডিও ও বিএলআরও-কে জানাই। তাঁরা বিষয়টি দেখছেন বলে জানান। এরপরই দেখি, কিছু দুষ্কৃতী আমাকে ফলো করছে।"

Adhir Choudhury: 'কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিকে খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছে', বিস্ফোরক অধীর
অধীর চৌধুরীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2025 | 5:01 PM
Share

বহরমপুর: কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। খুনের জন্য সুপারি কিলারদের টাকাও দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। যাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে অধীর চৌধুরী অভিযোগ করলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সেই সদস্য বাচ্চু মণ্ডলও একই কথা বললেন। তিনি নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।

বাচ্চু মণ্ডল বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্য। কিন্তু, কেন তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে? শনিবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “জমি মাফিয়াদের বিরোধিতা করার জন্য আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। ভাড়াটে খুনিদের সুপারি দেওয়া হয়েছে।” এর আগে খুন হয়েছেন বহরমপুরের তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী। সেই খুনে যারা জড়িত তাদেরই সুপারি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অধীর চৌধুরীর। একইসঙ্গে তিনি বলেন, কংগ্রেসের আর যে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, ভোটের আগে তাঁদের তৃণমূলে যোগদানের জন্য চাপ দেওয়া হবে। পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। যাতে ভোটের আগে তৃণমূল বলতে পারে, কংগ্রেসের আর কিছু নেই।

তাঁকে কেন খুনের পরিকল্পনা করা হতে পারে? অধীরের বক্তব্যকে সমর্থন করে বাচ্চু মণ্ডল বলেন, “সরকারি একটি জায়গা দখল করে কেনাবেচা করছিলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে আমি বিডিও ও বিএলআরও-কে অভিযোগ জানাই। আমার অভিযোগ পাওয়ার পর বিএলআরও তদন্ত করে দেখেন, জায়গাটি সরকারের। এরপর ওখানে একটি বোর্ড বসানো হয়। যে বোর্ডটি তুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আবার আমি বিষয়টি বিডিও ও বিএলআরও-কে জানাই। তাঁরা বিষয়টি দেখছেন বলে জানান। এরপরই দেখি, কিছু দুষ্কৃতী আমাকে ফলো করছে। বিষয়টি আমি আমাদের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীকে জানাই। উনি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। আমি থানায় যাব অভিযোগ জানাতে।”

Adhir Chowdhury Allegation

বাচ্চু মণ্ডল

এরপরই তিনি বলেন, “আমার গতিবিধি নজরে রাখছে। আমি কোথায় কোথায় যাচ্ছি, কোথায় বসি, ফলো করছে আমাকে।” এর পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তাঁর বক্তব্য, “সরকারি জায়গা সরকারের সাপোর্ট ছাড়া কারও বিক্রি করার ক্ষমতা নেই। তৃণমূলের সমর্থন ছাড়া কেউ সরকারি জমি বিক্রি করতে পারে? এই অভিযোগ করার জন্য ওরা আমার উপর চক্ষুশূল। ওরা আমাকে মারার পরিকল্পনা করছে।”

এই নিয়ে শাসকদলকে তোপ দেগেছেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “তৃণমূল এখন জনবিচ্ছিন্ন। তাই, মানুষ যাঁদের পছন্দ করেন, তাঁদের খুনের পরিকল্পনা করতেই পারে।” কংগ্রেসের অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।