
মুর্শিদাবাদ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) জনসভার দিনই বাবরি মসজিদের জমি দেখতে ব্যস্ত হুমায়ুন কবীর। বেলডাঙার ২ নম্বর ব্লকের মরাদিঘিতে জমি দেখতে গেলেন হুমায়ুন। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বাবরি মসজিদের জন্য জমি নির্ধারিত। এবার সেই জমি দেখতে গেলেন হুমায়ুন।
আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হবে। সেই উপলক্ষ্যে আগেই জমি দেখেছেন হুমায়ুন। যে জায়গায় শিলান্যাস হচ্ছে তার থেকে কয়েকশো মিটার দূরে তৈরি হবে বাবরি মসজিদ। আজও হুমায়ুন বলেন, “এখানে ৬ তারিখে অনুষ্ঠান আসবেন। এখানে সৌদি আরবের লোকজন আসবেন দু’জন। আমায় অনেকে-অনেক কথা বলেছিল। ছ’তারিখে জবাব দেব। আমার কাছে ২৫ বিঘা জমি রেডি আছে। কোথায় করব কী করব এখন বলব না। এটা মাত্র ভিত্তি স্থাপন করছি। এখানে শুধু বাবরি মসজিদ হবে না, ইসলামিক হাসপাতাল হবে, বিশ্ববিদ্যালয় হবে। পার্ক হবে। একটা হোটেল রেস্তোরাঁ হবেন।” এরপর মুর্শিদাবাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দশা বেহাল অভিযোগ করে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “মুর্শিদাবাদে একটা মেডিক্য়াল কলেজ আছে। সেখানে একটা বেডে তিনজন রোগী শুয়ে থাকেন। অনেক মানুষ সঠিক পরিষেবা না পেয়ে কলকাতায় চলে যান। সেখানেও ঠিক মতো ট্রিটমেন্ট না পেয়ে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ যেতে হয়। সেই কারণেই এই হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে।”
দিন যত এগিয়ে আসছে হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ নিয়ে জল্পনা ততই বাড়ছে। তাঁর এই উদ্যোগ দল যে ভাল চোখে দেখেনি সে কথা বলাই যায়। খোদ ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “আমি বা আমার দলের কেউ এই ধরনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি না। আমাদের দল ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। কাউকে ঠেস দিয়ে রাজনীতি করা আমাদের দলের কাজ নয়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত বা যে ধরনের বক্তব্য হচ্ছে তা আমরা সমর্থন করছি না।” যদিও তাতে বোধহয় কিছু যায় আসে না হুমায়ুনের। বাবরি মসজিদ যে হবেই সে কথা বারবার বলেছেন তিনি। তবে, এই নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ আবার মুর্শিদাবাদে সভা রয়েছে তাঁর। হুমায়ুনও যাবেন সেখানে। ফলত, এই বাবরি মসজিদের জল কতদূর গড়ায় এখন দেখার সেইটাই।