Humayun Kabir: এবার থানা ধরে ধরে পুলিশ আধিকারিকদের তোপ, অনুব্রতর পথেই হাঁটলেন হুমায়ুন!
Humayun Kabir: প্রকাশ্য একটি সভা থেকে হুমায়ুনকে বলতে শোনা যায়, "বেশ কিছু থানা, যেমন সামসেরগঞ্জ, লালগোলা, বড়ঞা, ভরতপুরের থানায় এমন কিছু কিছু কাণ্ড ঘটে, আমি যদি বিরোধী আসনে থাকতাম, তাহলে ২৪ ঘণ্টা লাগত না, আমার এগুলোকে সায়েস্তা করতে।"

মুর্শিদাবাদ: অনুব্রত মণ্ডল, টিএমসিপি নেতা বিক্রমজিতের পথেই হাঁটলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনিও পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ করলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “বিরোধী দলে থাকলে থানাগুলিকে সায়েস্তা করে দিতাম। হাতে পায়ে বেড়ি পরানো রয়েছে, তাই কিছু করতে পারছি না।”
প্রকাশ্য একটি সভা থেকে হুমায়ুনকে বলতে শোনা যায়, “বেশ কিছু থানা, যেমন সামসেরগঞ্জ, লালগোলা, বড়ঞা, ভরতপুরের থানায় এমন কিছু কিছু কাণ্ড ঘটে, আমি যদি বিরোধী আসনে থাকতাম, তাহলে ২৪ ঘণ্টা লাগত না, আমার এগুলোকে সায়েস্তা করতে।”
কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পুলিশের চমকানিতে ভয় পাবেন না। পুলিশ যদি আপনাদের অন্যায়ভাবে বিরক্ত করে, আপনাদের পরিবারকে বিরক্ত করে, রাতে অন্ধকারে আপনাদের তুলে আনে, ভয় পাবেন না, আমাকে খবর দেবেন। আমি আপনাদের পাশে রয়েছি।” বড়ঞা, লালগোলা থানার পুলিশ আধিকারিকদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ করেন তিনি।
এমনিতেই অনুব্রত ও বিক্রমজিতের মন্তব্যে তোলপাড় রাজনীতি। তাতে এবার সংযোজন হুমায়ুনের। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুকে হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি। বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, “তৃণমূল নেতিবাচক রাজনীতি করে। শাসকদলে আসবার পরেও নেতিবাচক মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। ফলে সেই দলের নেতাদের এই ধরনের ভাষ্য। একই পথের পথিক। অনুব্রত যা বলবে, তাঁর দলের নেতারও তাই বলবে, সেটাই স্বাভাবিক।”
বোলপুর থানার আইসি-কে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করে ঘরে বাইরে বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। রাতে আইসি লিটন হালদারকে অশ্লীল ভাষায় গালিগাজার করেছেন। সেই অডিয়ো সামনে এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলের নির্দেশে চার ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু বিতর্ক থামেনি। তার আগেই আবার অনুূব্রতর হয়ে সুর চড়িয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন টিএমসিপি নেতা বিক্রমজিৎ সাউ। দলের কোপে পড়েছেন তিনি। ৬ বছরের জন্য তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার সেই একই পথে হেঁটে হুমায়ুন কোন শাস্তির মুখে পড়েন, সেটাই দেখার।

