
মুর্শিদাবাদ: সাসপেন্ড করেছে দল। হুমায়ুন কবীর প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের সাফ কথা, “ধর্ম নিয়ে রাজনীতি যারা করে, তাদের সঙ্গে দল কোনও সম্পর্ক রাখবে না।” হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তুঙ্গে চর্চা। বহরমপুরের সভা থেকে নাম না করে বিদ্রোহী হুমায়ুনের তুলোধনা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আগেও হুমায়ুনের সঙ্গে বারবার জুড়েছে বিজেপির প্রসঙ্গ। এদিন হুমায়ুনের নাম মুখে না আনলেও মমতা বলেন, ভোটের আগে কেউ কেউ বিজেপির থেকে টাকা খেয়ে এইসব করেন। অশান্তির প্রশ্রয় দেবেন না। কেউ কেউ টাকা খেয়ে নির্বাচনের আগে বিজেপির তাবেদারি করে।” এদের দেশের শত্রু বলেও কটাক্ষবাণ শানাতে দেখা যায় তাঁকে।
৬ ডিসেম্বর বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করতে চলেছেন হুমায়ুন। আর সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই বলেই মনে করেছেন তিনি। এরইমধ্যে আবার তাঁর মন্তব্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে তাঁকে প্রিভেনটিভ অ্যারেস্টের কথা বলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যকে দিয়েছেন চিঠি। যদিও হুমায়ুন বলছেন, “বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ করার কথা বলে বেশ করেছি। ক্ষমতা থাকে তো রুখে দেখাক।” ঠিক এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “আগামীতে এই আরএসএস মার্কা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে সরাসরি বিজেপির কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোক আমি স্বাগত জানাব। আরএসএস মার্কা মুখ্যমন্ত্রী যদি আমার বিরুদ্ধে এসব প্রমাণ করতে চায় আমি প্রমাণ করে দেব তিনি মন্দির নিয়ে আছেন। তিনি পুজো করার জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান দিচ্ছেন, তিনি কার্নিভাল করছেন। তিনি জগন্নাথ মন্দির করে মুসলামদের ইমান নষ্ট করার জন্য প্রসাদ বাড়ি বাড়ি বিলি করছেন। এটা কতদিন থাকে এটা দেখব আমি।”
আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই যে তাঁর নতুন দল সামনে আসছে এদিন ফের একবার সেই কথাও জানান। নাম, লোগো, রাজ্য কমিটি সবই তৈরি হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে অন্য দল থেকে তাঁর কাছে প্রস্তাব আসছে। সেসবও তিনি বিবেচনা করে দেখছেন। নতুন দলের প্রসঙ্গ উঠতেই বলেন, “আমি নতুন দল করে ২৯৪টা আসনের মধ্যে ১৩৫টা আসনে লড়ব। দলের স্লোগান একটাই মুর্শিদাবাদ সহ বাংলার উন্নয়ন। উন্নয়নের নামে যে তোলাবাজি চলছে তাঁর বিরোধিতা করাই হবে কাজ। দল হবে ধর্মনিরপেক্ষ। দলের নামকরণও হয়ে আছে, লোগোও তৈরি হয়েছে। ৩১ জনের রাজ্য কমিটি তৈরি হয়ে আছে। আমি ২২ তারিখে মানুষের সামনে আনব। এছাড়াও অন্য দল থেকে সরাসরি প্রস্তাব আছে, আমি সেগুলি খারিজ করছি না।”