EXPLAINED: মন্দির-মসজিদ আর পদ্ম, ছাব্বিশের নির্বাচনের অভিমুখ কি মুর্শিদাবাদ?
EXPLAINED: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আর বছর দেড়েকও বাকি নেই। তৃণমূল কি চতুর্থবার ক্ষমতায় আসবে? নাকি বাংলার মসনদে অন্য কেউ বসবে? এখন থেকে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ছাব্বিশের নির্বাচনে জিততে রাজনৈতিক দলগুলির হাতিয়ার কী হবে? এই পরিস্থিতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে মুর্শিদাবাদ। হঠাৎ কেন মুর্শিদাবাদকে নিয়ে আলোচনা বাড়ছে? পড়ুন টিভি৯ বাংলার বিশেষ প্রতিবেদন...

মুর্শিদাবাদ: একসময় বাংলার রাজধানী ছিল। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যোগসূত্রের কাজ করে এই জেলা। পশ্চিমবঙ্গে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই মুর্শিদাবাদ জেলা আলোচনার কেন্দ্রে। কেউ ঘোষণা করেছেন, বাবরি মসজিদ তৈরি করবেন জেলায়। আবার কেউ জানিয়েছেন, জেলার প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে রামমন্দির তৈরি করবেন। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৫ সালে পদ্ম সম্মান প্রাপক হিসেবে যাঁদের নাম ঘোষণা করেছে, তাতে এমন দু’জন রয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের গভীর যোগ রয়েছে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, ছাব্বিশের নির্বাচনে কি এপিক সেন্টার হয়ে উঠবে মুর্শিদাবাদ জেলা? রাজনৈতিক দলগুলি কি মুর্শিদাবাদে বাড়তি নজর দিচ্ছে? ছাব্বিশের নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে এই জেলা?
মুর্শিদাবাদের জনসংখ্যা-
মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক চিত্র আলোচনার আগে এই জেলার জনসংখ্যার উপর একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, নবাবের এই জেলায় জনসংখ্যা ছিল ৭১ লক্ষ ৩ হাজার ৮০৭ জন। গ্রামীণ এলাকায় জনসংখ্যা ছিল ৫৭ লক্ষ ৩ হাজার ১১৫। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৮০.৩ শতাংশ গ্রামের বাসিন্দা। আর শহর এলাকায় জনসংখ্যা ছিল ১৪ লক্ষ ৬৯২। যা মোট জনসংখ্যার ১৯.৭ শতাংশ।
এই খবরটিও পড়ুন
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের জনসংখ্যার ৬৬.৩০ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের। সেখানে হিন্দু জনসংখ্যা ৩৩.২১ শতাংশ।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন-
মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনটি লোকসভা নির্বাচন। একসময় মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে টানা পঁচিশ বছর সাংসদ ছিলেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে অধীরের দাপট কমেছে মুর্শিদাবাদে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জেলার তিনটি লোকসভা আসনই জিতেছে তৃণমূল। জঙ্গিপুর আসনে জিতেছেন তৃণমূলের খলিলুর রহমান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস প্রার্থীর চেয়ে ১ লক্ষ ১৬ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলের চেয়ে ২ লক্ষ ৩ হাজারের মতো কম ভোট পেয়েছেন।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছেন তৃণমূলের আবু তাহের খান। এখানে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। তবে তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিল কংগ্রেস। তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি ৩ লক্ষ ৯০ হাজারের মতো কম ভোট পেয়েছেন।
আর বহরমপুর কেন্দ্রে ২৫ বছর পর হেরেছেন অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান তাঁকে ৮৫ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল-
মুর্শিদাবাদ জেলায় বিধানসভা আসন সংখ্যা ২২। তার মধ্যে একুশের নির্বাচনে ২০টি আসন জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর দুটি আসন পায় বিজেপি। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে জেতেন বিজেপির গৌরীশঙ্কর ঘোষ। আর বহরমপুর কেন্দ্রে জেতেন বিজেপির সুব্রত মৈত্র। একুশের নির্বাচনে বিজেপি যে দুটি আসনে জিতেছে, এগারোর জনগণনা অনুয়ায়ী সেখানে হিন্দুদের সংখ্যা বেশি।
মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ ও রামমন্দিরের ঘোষণা-
বিধানসভা নির্বাচনের যখন আর বছর দেড়েকও বাকি নেই, তখন মুর্শিদাবাদে আলোচনার কেন্দ্রে বাবরি মসজিদ ও রামমন্দির নির্মাণ। গতবছরের ডিসেম্বরে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি করবেন। ২০২৫ সালের ৬ ডিসেম্বর তার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হবে। অর্থাৎ, ছাব্বিশের নির্বাচনের আগেই মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হবে। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ তৈরির ঘোষণার পরই আসরে নামে বঙ্গীয় হিন্দু সেনা। অম্বিকানন্দ মহারাজ মুর্শিদাবাদের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে রামমন্দির গড়ার ডাক দেন। রামমন্দিরের জন্য তৈরি হয়েছে ট্রাস্ট। বঙ্গীয় রামসেবক পরিষদ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। গত ২২ জানুয়ারি সাগরদিঘির থানার অলঙ্কার গ্রামে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও হয়েছে। দক্ষিণ ভারত থেকে নিয়ে আসা হয়েছে রামলালার অষ্টধাতুর মূর্তি। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে মন্দির-মসজিদ নির্মাণ ঘিরে আলোচনা ক্রমশ বাড়ছে।

দক্ষিণ ভারত থেকে মুর্শিদাবাদে এল রামলালার মূর্তি
২০২৫ সালে বাংলা থেকে পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকায় কার্তিক মহারাজ ও অরিজিৎ সিং-
মন্দির-মসজিদ নিয়ে আলোচনা তো ছিলই। তার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদের দুই পদ্মশ্রী প্রাপককে নিয়ে আলোচনা। প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের সন্ধ্যায় পদ্মপ্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। এবছর ১৩৯ বিশিষ্টজনকে পদ্ম সম্মানে সম্মানিত করা হবে। তার মধ্যে বাংলা থেকে রয়েছেন ৯ জন। বাংলার ৯ বিশিষ্টজন পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন। আর এই বাংলার প্রাপকদের মধ্যে দুই জনের মুর্শিদাবাদের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। একজন বলিউডের বিখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং। অন্যজন কার্তিক মহারাজ।
অরিজিতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে। খ্যাতির চূড়োয় উঠেও তাঁর সরল জীবনযাপন নিয়ে আজও আলোচনা হয়। আর কার্তিক মহারাজ (স্বামী প্রদীপ্তানন্দ) ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার তিনি অধ্যক্ষ।
মুর্শিদাবাদকে ঘিরে আলোচনা নিয়ে কী বলছে তৃণমূল?
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের উদ্যোগ তিনিই নিয়েছেন। ভরতপুরের সেই বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলছেন, “মুর্শিদাবাদ কেন, সারা ভারতেই মেরুকরণের রাজনীতি চলছে। ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্র ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তারা তো জাতপাতের ইস্যুতেই ভোট করে। কখনও রামমন্দির। কখনও কোনও মসজিদের নিচে মন্দিরের খোঁজ পায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একজনও মুসলিম মন্ত্রী রয়েছেন? রাজ্যেও জাতপাতের রাজনীতি করছে বিজেপি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে হুমায়ুন কবীর বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে কিছুটা হলেও মুসলিমরা সম্মানে রয়েছে। সিপিএমের ৩৪ বছরের আমলে সিপিএমের নেতারা মুসলিম সম্প্রদায়কে ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মতো দেখত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে মুসলিমরা কোথাও কোথাও জায়গা পাচ্ছে। শতাংশ কম হলেও জায়গা পাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে সম্মান দেন। শুভেন্দুবাবুর কথায় কথায় হিন্দুত্ব। তাঁদের পাল্টা দিতে গেলে আমাদেরও তো তাই করতে হবে। এতে লোকানোর কী আছে।”
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ যে হচ্ছে, তা নিশ্চিত করে ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, “মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ হবে। একশো শতাংশ হবে। আমরা ঘোষণা করেছি। করে দেখাব। বাংলার মুসলমানদের হবে। ভারতের মুসলমানদের হবে। ২০২৫ সালের ৬ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। ২০২৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে। হেলিপ্যাডও থাকবে। যাতে কোনও ভিআইপি-র আসতে অসুবিধা না হয়।”
কী বলছে সিপিএম?
মন্দির-মসজিদ করে আসল সমস্যাগুলি থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে বিজেপি ও তৃণমূল চেষ্টা করছে বলে সিপিএমের অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, “শুধু মুর্শিদাবাদ জেলা নয়, সারা দেশেই মন্দির মসজিদ নিয়ে রাজনীতির চলছে। আমরা দেখেছি, রামমন্দির তৈরির জন্য বিজেপি, আরএসএস যেভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল। তখনই এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করবেন। এটা কিসের ইঙ্গিত? বেকার ছেলেদের কর্মসংস্থান নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। কোনও সরকারের উদ্যোগ কিংবা ভূমিকা আমরা দেখছি না। ৮০০ স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারও কোনও হেলদোল নেই। না বিজেপির আছে, না তৃণমূলের আছে। মন্দির-মসজিদ নিয়ে হইচই করে মানুষের মন সেদিকে ঘুরিয়ে দিয়ে নিজেরা লুটপাটে মেতেছে।”
কার্তিক মহারাজের পদ্মশ্রী সম্মান নিয়ে অধীরের বক্তব্য-
কার্তিক মহারাজের পদ্মশ্রী পুরস্কারে রাজনীতি দেখছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, “ভারত সেবাশ্রম সংঘের সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক। কিন্তু, এখন গেরুয়া বস্ত্র পরে যদি কেউ মিশনের মানসিকতার বিরোধিতা করে তাহলে তাঁর সঙ্গে তো সম্পর্ক থাকতে পারে না। একটা কোনও ব্যক্তির জন্য কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ থাকতে পারে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পদ্ম পুরস্কারে রাজনীতিকরণ হচ্ছে। কাছের লোক পাবে। যাঁরা আরএসএস, বিজেপির ভাবাদর্শে বিশ্বাস করে তাঁদের জন্য পুরস্কার। সরকারের তোষামোদ করলে পুরস্কার। বাকিদের জন্য তিরস্কার। তাই গুরুত্ব থাকছে না পদ্ম পুরস্কারের।”
মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ ও রামমন্দির তৈরি নিয়েও অধীর চৌধুরী বিজেপি ও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তাঁর বক্তব্য, “মুর্শিদাবাদে যেটা চলছে, প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতা। পশ্চিমবঙ্গ এখন সাম্প্রদায়িক রাজনীতিক একটা উর্বর জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে।”
কার্তিক মহারাজের পদ্মশ্রী সম্মান বিতর্কে জবাব বিজেপির-
কার্তিক মহারাজের পদ্মশ্রী সম্মান নিয়ে বিতর্কে জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকারের বক্তব্য, “কার্তিক মহারাজ পদ্ম পুরস্কার পাবেন না তো কে পাবেন! উনি আধ্যাত্মিকতা, সমাজসেবা সহ হিন্দুত্বের বোধ জাগ্রত করতে কাজ করেছেন। সমস্ত হিন্দু মানুষকে নিজেদের সংস্কৃতি সম্পর্কে গৌরবান্বিত করার মনোভাব উনি সমাজে জাগিয়ে তুলেছেন।”
কার্তিক মহারাজকে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী-
পদ্মশ্রী সম্মান পাওয়া নিয়ে বিতর্কের আগেই ভোটের সময় কার্তিক মহারাজকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “এলাকায় এলাকায় গিয়ে ধর্মের নামে বিজেপির প্রচার করে বেড়ান। আমি বলছি, আপনি করুন। কিন্তু বিজেপির চিহ্নটা বুকে লাগিয়ে করুন। ধর্মের নামে কেন, লুকিয়ে লুকিয়ে কেন?”
কার্তিক মহারাজের পদ্মশ্রী সম্মানে খুশি ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন-
কার্তিক মহারাজের পদ্মশ্রী সম্মানে রাজনীতি দেখছেন না তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর। ভরতপুরের বিধায়ক বলছেন, “উনি অনেকদিন থেকেই বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রয় সঙ্ঘে কাজ করছেন। ভারতের সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী দিচ্ছেন। এই সিদ্ধান্তে মুর্শিদাবাদবাসী হিসাবে আমরা খুশি। উনি যাতে আরও বেশি করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের সেবা করে যান, সেটাই চাইব।”
বিতর্কে জবাব দিয়েছেন কার্তিক মহারাজ-
তাঁর পদ্মশ্রী সম্মান পাওয়া নিয়ে বিতর্ক বেধেছে। এই নিয়ে সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এই সন্ন্যাসী। তিনি বলেন, “যাঁর যেরকম দৃষ্টি, সে অনুযায়ী ব্যখ্যা করবেন।” উল্টে মমতার প্রসঙ্গ টেনে তাঁর বক্তব্য, “কেউ বলবেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ। কেউ আবার বলবেন দিদির আশীর্বাদ। নিঃসন্দেহে দিদি আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। তিনি আমার নাম আরও ব্যাপক আকারে প্রচার করেছেন।”
অপেক্ষা নির্বাচনের-
পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মুর্শিদাবাদের চেয়ে শুধু বেশি বিধানসভা আসন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। সেই দিক দিয়ে দেখতে গেলেও এই জেলা যেকোনও রাজনৈতিক দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, মুসলিম অধ্যুষিত এই জেলায় প্রভাব ফেলতে পারলে বিজেপির কাছে তা বাড়তি অক্সিজেন হিসেবে কাজ করবে। অন্যদিকে, তৃণমূল তাদের ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে চাইছে। সবমিলিয়ে ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আলোচনার কেন্দ্রে মুর্শিদাবাদ। ভোটে তার কী প্রভাব পড়ে, সেটাই এখন দেখার।





