
মুর্শিদাবাদ: একটা বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে কথা বলা হবে না। এসআইআরের ঘোষণা হতেই বারেবারে হুঙ্কার দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সময় যত গড়িয়েছে ততই চড়েছে উত্তেজনার পারদ। এবার সুর চড়াতে গেল গ্রন্থাগার মন্ত্রীকে। খসড়া তালিকায় নাম তোলার সময় এদিক-ওদিক করবেন না। খসড়া তালিকায় নাম তোলার সময় একটু এদিক-ওদিক হলেই তা হবে আগুন নিয়ে খেলার সামিল। এ ভাষাতেই এদিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গেল সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসআইআর নিয়ে বলতে গিয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে বিজেপি পালে হাওয়া তুলতে চাইছে।” তাঁর মতে এ রাজ্যে ১৪ বছর ধরে তৃণমূলের সরকার আছে বলেই এখন বিজেপি এমনটা করছে। এই আবহে যদি এসআইআরের কারণে দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকারে প্রভাব পড়ে তাহলে তা কোনওভাবেই যে বরদাস্ত করা হবে না তা এদিন বারেবারে বুঝিয়ে দেন তৃণমূলের এই সংখ্যালঘু নেতা।
সিদ্দিকুল্লার সাফ কথা, “কোনও ভাবেই বৈধ ভোটারদের বাদ দেওয়া যাবে না। দরকারে বুথ ভিত্তিক খসড়া তালিকা টাঙিয়ে দেবে। যিনি খসড়া তালিকা লিখবেন তাঁকেও স্বচ্ছভাবে করতে হবে। কোনওভাবে হাতটা এদিক-ওদিক হয়ে গেলে আগুন নিয়ে খেলা হবে। কোনও বৈধ ভোটার, কোনও ভারতীয় নাগরিককে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।”
একদিন আগেই আবার বিহারে বিধানসভা ভোটের ফলাফল সামনে এসেছে। ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছে এনডিএ জোট। চোখ ধাঁধানো ফল যেমন বিজেপি করেছে, তেমনই বিরোধী শিবিরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে নীতিশ কুমারের জেডিইউ। তাতেই যেন নতুন করে পালে হাওয়া লেগেছে বঙ্গ বিজেপির। বিজেপি নেতাদের একটাই কথা, বিহারে হয়েছে এবার বাংলাতেও হবে। এই আবহে এসআইআর নিয়ে সুর চড়িয়েই চলছে তৃণমূল।