Murshidabad: আইন ভেঙে বেশি পরিমাণ পাট মজুত, দুটি গোডাউন সিল করল পুলিশ
Murshidabad: জুট কর্পোরেশন আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাট মজুত করায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ইসলামপুরের দুটি গোডাউন সিল করে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদ: নিয়মের থেকে বেশি পরিমাণ পাট মজুত করেছিল। দুটি গোডাউনকে সিল করে দিল পুলিশ। জুট কর্পোরেশন আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাট মজুত করায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ইসলামপুরের দুটি গোডাউন সিল করে পুলিশ।
ভারত সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পাট ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে জানাতে হত। ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত পাটের পরিমাণ ৫০০ কেজির বেশি হলে, তা আগেই নথিভুক্ত করতে হত। এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাট মজুত করেছিল ইসলামপুরের দুটি গোডাউন।
পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পেরে, নাজিরপুরের দুটি গোডাউনে অভিযান চালায়। সেখানে মজুত পাট বাজেয়াপ্ত করে। ইউনুস আলি মন্ডলের গোডাউন থেকে ১০১ কুইন্টাল ২৫ কেজি এবং রবিউল ইসলামের গোডাউন থেকে ৪৪ কুইন্টাল ১০ কেজি পাট মজুত ছিল। গোডাউন দুটি সিল করে দেয় পুলিশ।
এদিকে, রাজ্য জুড়েই জুটমিলগুলি কার্যত ধুঁকছে। গত শনিবারই রিষড়া ওয়েলিংটন জুটমিলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। ভাঙচুর করা হয়েছে মিলের অফিস, ম্যানেজারের কোয়ার্টার। জুটমিলের শ্রমিকদের অভিযোগ, কয়েকটি বিভাগে কাজ হলেও সব শ্রমিক কাজ পাচ্ছে না। তা নিয়ে অসন্তোষ থেকে উত্তেজনা তৈরি হয়। শুক্রবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আসবাবপত্র অফিসের সামনে থাকা গাড়িতে ভাঙচুর কর হয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়েলিংটন জুটমিলে সাসপেনশান অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলেছিল। বেশ কয়েকবার বৈঠকের পর অক্টোবর মাসে শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার হস্তক্ষেপে মিল খোলে। মিলে পরিকাঠামোগত কাজ চলার পর ১০ অক্টোবরথেকে উৎপাদন শুরু হয়। ধাপে ধাপে সব শ্রমিককে কাজ দেওয়া হবে বলে নোটিসও দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক মাস হয়ে গেলেও সব শ্রমিক কাজ না পাওয়ায় অসন্তোষ দানা বাঁধে।
মিলের নিরাপত্তা রক্ষী রঘুবেন্দ্র প্রসাদ গুপ্তা বলেন, “শ্রমিকরা এসে প্রথমে ম্যানেজারকে খুঁজলেন। ম্যানেজার তখন ছিলেন না। তাঁকে না পেয়ে আমাকে মারধোর করলেন, জিনিসপত্র ভাঙচুর করলেন।” এ প্রসঙ্গে মিলের শ্রমিক মহঃ জাভেদ বলেন, “ম্যানেজার খালি বলে কাজ আজ দেব, কাল দেব। আজ সকালে কাজে যোগ দিতে গেলে কাজ মেলেনি। বলা হয়েছিল ১৮ তারিখ থেকে মিল পুরো চলবে, তা হয়নি। আমরা চাই সবাইকে কাজ দেওয়া হোক।” উত্তেজনা থাকায় মিলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি মাত্র এক রাতের নোটিসে রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ দেখাতে জিটি রোড অবরোধ করেন শ্রমিকরা। অনেক জটিলতার পর মিল খোলে। এবার আবার কাজ নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হওয়ায় প্রহর গুনছেন মিলের কয়েক হাজার শ্রমিক।
আরও পড়ুন: আরও নামল তাপমাত্রা! বঙ্গে এখন শীতের আমেজ