Kandi Hospital Chaos: ২৪ ঘণ্টায় সাফল্য! সরকারি হাসপাতালে নার্সকে নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেফতার ৪
Murshidabad News: খড়গ্রামের বালিয়াহাট থেকে বুকে ব্যথা নিয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হলেন মজেম শেখ। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ভর্তির পর ঠিক মতো সুশ্রুষা করা হয়নি তাঁকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বুকে ব্যথা নিয়েই ফেলে রাখা হয়েছিল তাঁকে। মুখ ফিরিয়েও তাকাননি কোনও চিকিৎসক বা নার্স। তখনই চড়ে পারদ।

মুর্শিদাবাদ: কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নার্সকে নিগ্রহের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও বাকি দু’জন মহিলা। শনিবার সন্ধ্য়ায় রোগীর চিকিৎসা পেতে দেরি হওয়ার অভিযোগ তুলে হাসপাতালের অন্দরে তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। আক্রান্ত হয়েছিলেন একজন নার্স। সেই ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল কান্দি থানার পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
ছুটির দিন হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী তুলনামূলক কম। সেই পরিস্থিতিতেও তৎপরতার সঙ্গে চলছিল পরিষেবা প্রদান। কিন্তু সেই শান্তির পরিবেশ নিমেষে পরিণত হল রণক্ষেত্রে। খড়গ্রামের বালিয়াহাট থেকে বুকে ব্যথা নিয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হলেন মজেম শেখ। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ভর্তির পর ঠিক মতো সুশ্রুষা করা হয়নি তাঁকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বুকে ব্যথা নিয়েই ফেলে রাখা হয়েছিল তাঁকে। মুখ ফিরিয়েও তাকাননি কোনও চিকিৎসক বা নার্স। তখনই চড়ে পারদ।
হাসপাতাল যেন রণক্ষেত্র
কেন সময় মতো পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলেই হাসপাতালে সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে সরব হয় রোগীর আত্মীয় পরিজন। শুরু হয় বচসা। যা কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পরিণত হয় হাতাহাতিতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, নার্সদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় রোগীর পরিবার-পরিজন। ছিঁড়ে দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র। চলে ভাঙচুরও। মারধর করা হয় এক নার্সকে। যা ঘিরে হাসপাতালের অন্দরে তৈরি হয় আতঙ্কের আবহ। শনিবার হাসপাতালের সাময়িক দায়িত্বে থাকা অস্থায়ী সুপার অভিক দাস বলেন, ‘এই ঘটনা কোনও মতেই কাম্য নয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গেই এমন আচরণ, সত্যিই ন্যক্কারজনক।’
দায়ের এফআইআর
এই নিগ্রহের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরই তৎপর হয় পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে নার্সকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাঁদের তোলা হবে নিম্ন আদালতে।
