Kartik Maharaj: বাংলাদেশের হিন্দুদের আশ্রয় দেওয়া হোক এ বাংলায়, এবার দিল্লিতে পেশ করতে চলেছেন পদ্মশ্রী কার্তিক মহারাজ

Kartik Maharaj: কার্তিক মহারাজ জানিয়েছেন, দিল্লিতে ভারত সরকারের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই দাবি রাখবেন তিনি।  ইতিমধ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশি হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে CAA তৈরি করেছে।

Kartik Maharaj: বাংলাদেশের হিন্দুদের আশ্রয় দেওয়া হোক এ বাংলায়, এবার দিল্লিতে পেশ করতে চলেছেন পদ্মশ্রী কার্তিক মহারাজ
বাংলাদেশি হিন্দুদের বাংলায় আশ্রয় দেওয়ার দাবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2025 | 2:54 PM

কলকাতা: বাংলাদেশের হিন্দুদের এপার বাংলায় আশ্রয় দেওয়ার দাবি জানাতে দিল্লি যাচ্ছেন পদ্মশ্রী কার্তিক মহারাজ। বাংলায় রাজনৈতিক অবস্থা, হিন্দু সমাজের অবস্থা দেখে হতাশা হয় কার্তিক মহারাজের, নিজেই সেকথা জানিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী।

বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ বলেন, ” বাংলায় রাজনৈতিক পরিবেশ, হিন্দু সমাজের এই অবস্থা তো বটেই, আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন মামলায় যে তদন্ত হচ্ছে, তার রিপোর্টেও একটু হতাশা হয়। দিল্লিতে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা, বাংলাদেশে হিন্দুদের দুরবস্থা, তাঁদেরকে সেখান থেকে বার করে নিয়ে আসা, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা, তাঁরা তো অনুপ্রবেশকারী নন, তাঁরা শরণার্থী- এসব নিয়েই কথা বলতে যাব। বাংলাদেশে আসলে হিন্দুরা ধর্মের জন্য বাধ্য হচ্ছেন চলে আসার জন্। তাঁদেরই ব্যবস্থা করার আবেদন জানাব।”

কার্তিক মহারাজ জানিয়েছেন, দিল্লিতে ভারত সরকারের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই দাবি রাখবেন তিনি।  ইতিমধ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশি হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে CAA তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কার্তিক মহারাজের দাবি ন্যায্য বলেই মনে করছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” বাংলাদেশের হিন্দুরা, শরণার্থী হয়ে যাতে এপারে আসেন, তার জন্যই দেশে নাগরিকত্ব আইন তৈরি হয়েছে। এই আইনের মূল বিষয়ই হচ্ছে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু শরণার্থীরা আশ্রয় পাবেন। কেবল হিন্দু নয়, আরও ৬টি মাইনরিটি রয়েছে এই তালিকায়। বাংলাদেশের হিন্দুদের কথা দিল্লিতে তুলে ধরতে পারলে, তা পশ্চিমবাংলার হিন্দুদের ক্ষেত্রেও আশার কথা।”