AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kartik Maharaj: ‘আচমকাই নয়, অনেকটা প্ল্যানিং রয়েছে এর পিছনে’, কেন মমতা নাম নিলেন কার্তিক মহারাজের, EXCLUSIVE সাক্ষাৎকারে ব্যাখ্যা দিলেন মহারাজ

Kartik Maharaj: "আমি মুর্শিদাবাদে দীর্ঘদিন রয়েছি। অধীর চৌধুরী এখানে দীর্ঘদিন আসতেন। টাকা দিয়েছেন। কংগ্রেসের সফি এখানে টাকা দিয়েছেন। এখানে মাননীয় শুভেন্দু অধিকারী টাকা দিয়েছেন।"

Kartik Maharaj: 'আচমকাই নয়, অনেকটা প্ল্যানিং রয়েছে এর পিছনে', কেন মমতা নাম নিলেন কার্তিক মহারাজের, EXCLUSIVE সাক্ষাৎকারে ব্যাখ্যা দিলেন মহারাজ
কার্তিক মহারাজ এক্সক্লুসিভImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 20, 2024 | 12:43 PM
Share

কলকাতা: হঠাৎ করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম নিলেন কার্তিক মহারাজের। সেই কারণের ব্যাখ্যা দিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজ। TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়েই কার্তিক মহারাজ  দাবি করেন, এটা হঠাৎ করে বলে দেওয়া কোনও কথা নয়। এর পিছনে রয়েছে ‘অনেক প্ল্যানিং’।

গত শনিবার একটি সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “সব সাধু তো সমান হয় না। এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ রয়েছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে। আমি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বুথে বসতে দেব না। তাকে আমি আর শ্রদ্ধা করি না।”

সাধু সন্তদের নিয়ে এই মন্তব্যের জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে বলে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন কার্তিক মহারাজ। কিন্তু কেন বাংলার সাধু সন্তদের মধ্যে নির্দিষ্টভাবে  কার্তিক মহারাজের নাম নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রশ্নটা করা হয়েছিল তাঁকে।

এদিন TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে কার্তিক মহারাজ বলেন, “এই অভিযোগ আচমকা হঠাৎ নয়। এটা অনেক প্ল্যানিং করে করেছেন। কারণ কিছু আগেই সিটিং এমএলএ হুমায়ুন কবীর মন্তব্য করেছেন,  ৭০ শতাংশ আমরা এখানে, ৩০ শতাংশ হিন্দু।”  এরপর হুমায়ুন কবীর উস্কানিমূলক মন্তব্য করা সত্ত্বেও কেন মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রতিবাদ-শাসনও করেননি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

কার্তিক মহারাজ আরও বলেন, “আমি মুর্শিদাবাদে দীর্ঘদিন রয়েছি। অধীর চৌধুরী এখানে দীর্ঘদিন আসতেন। টাকা দিয়েছেন। কংগ্রেসের সফি এখানে টাকা দিয়েছেন। এখানে মাননীয় শুভেন্দু অধিকারী টাকা দিয়েছেন। স্বপন চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররা এসেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে বহুদিনের যোগাযোগ। এখানে ১২ টা স্কুল। তার মধ্যে ৮০ শতাংশ হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত।”

তিনি জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ফোন করেও জানিয়েছেন, তাঁরা এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন। বুদ্ধিজীবী সমাজ থেকেও চিঠি পাঠিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।

কার্তিক মহারাজ আরও বলেন, “আমাদের এখানে শুভেন্দুদা বেশিরভাগ সময়েই আসেন। এখানে ১০ বিঘা জমি। বামফ্রন্টের আমলে বীনয়ভূষণ চৌধুরী দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানুন, কেন আমার নাম করেছেন। অপূর্ব সরকার, সায়নী- ওঁদের জিজ্ঞাসা করলেই বোঝা যাবে কোথায় কোন বুথ এজেন্টে বার করে দেওয়ার কথা বলেছি? এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। একথা সত্য প্রমাণ করতে পারলে, শাস্তি মাথা পেতে নেব।”

কার্তিক মহারাজ শেষে বলেন, “আমি কোনও ডন নই। আমি কোনও মস্তানবাহিনী পরিচালনা করি না। আমি হিন্দু সমাজের সন্ন্যাসী। আমি সমাজ ধর্ম সংস্কৃতি নিয়ে চলি।”  তবে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে সঙ্ঘের সন্ন্যাসীদের মধ্যে তিনি যে কলঙ্কিত হয়েছেন, সেকথাও বলেন।