Murshidabad: গামছা, বালিশের কভার দিয়ে ঢাকতে হচ্ছে মুখ! যা কাণ্ড ঘটাতে যাচ্ছিল এই তিনজন
Murshidabad: জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় সন্দেহভাজন গতিবিধির বিষয়ে গোপন সূত্র মারফত আগে থেকেই খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেই মতো প্রস্তুতও ছিল হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। সেই সময়েই গভীর রাতে একটি বাইকে চেপে তিনজনকে ঘুরতে দেখতেন পুলিশকর্মীরা।
মুর্শিদাবাদ: রাতের অন্ধকারে বাইক নিয়ে ঘুরঘুর করছিল। তখন গভীর রাত। তিনজন যুবককে অন্ধকারের মধ্যে এভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেই প্রথমে সন্দেহ জাগে পুলিশের মনে। এরপর যা হল, তা দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ উর্দিধারীদের। তিনজনকে আটক করে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে সেভেন এমএম পিস্তল। সঙ্গে দুই রাউন্ড গুলি। সঙ্গে সঙ্গে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম আসিরুল শেখ,মনিরুল ইসলাম ও বকুল ইসলাম। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বাইকটিও। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত স্বরূপনগর এলাকায়।
জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় সন্দেহভাজন গতিবিধির বিষয়ে গোপন সূত্র মারফত আগে থেকেই খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেই মতো প্রস্তুতও ছিল হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। সেই সময়েই গভীর রাতে একটি বাইকে চেপে তিনজনকে ঘুরতে দেখতেন পুলিশকর্মীরা। তাদের চালচলন দেখে সন্দেহ জাগে পুলিশের মনে। সেই কারণে বাইক থামিয়ে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতেই কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তাতে পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়ে।
এরপর তাদের তিনজনকে তল্লাশি চালাতেই একেবারে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। বেরিয়ে আসে একটি সেভেন এমএম পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি। সঙ্গে সঙ্গে তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনজনই হরিহরপাড়া থানা এলাকারই বাসিন্দা। বাড়ি বাড়ি হরিহরপাড়ার শঙ্করপুরে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ওই আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল তিনজন। কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র এল, কোথায় বিক্রি করার প্ল্যানিং ছিল, সেই সব দিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।