Hazarduari: গঙ্গাসাগর মেলা হলে হাজারদুয়ারি কেন বন্ধ থাকবে? পর্যটন কেন্দ্র খোলার দাবিতে বিক্ষোভ ব্যবসায়ীদের
Murshidabad: ব্যবসায়ীদের দাবি পঞ্চাশ শতাংশ পর্যটক নিয়ে খুলুক পর্যটন কেন্দ্র।
মুর্শিদাবাদ: রাজ্যে করোনার বাড়-বাড়ন্ত রুখতে শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত পর্যটন শিল্প বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে সরকারের তরফে। যার কারণে একাধিক পর্যটন স্থান ইতিমধ্যে বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই নিয়েও তৈরি হয়েছে জোড় বিতর্ক। রাজ্যে যদি গঙ্গাসাগর মেলা হয় তাহলে বাকি পর্যটন স্থানগুলি কী দোষ করল? কেন বন্ধ রাখা হবে সেগুলি? এমনই প্রশ্ন এবার উঠতে শুরু করল হাজারদুয়ারি কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে।
মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি। সরকারি নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই বন্ধ রয়েছে সেই পর্যটন কেন্দ্র। ভরা মরশুমে এই ভাবে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় প্রচুর ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তার জেরে লালবাগের পর্যটন কেন্দ্রগুলি খোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন মুর্শিদাবাদ পর্যটন সহায়তা সংগঠন। আজ এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন টাঙা চালক, টোটো চালক, গাইড, এছাড়াও হোটেল ব্যবসায়ী থেকে হ্যান্ডলুম বিক্রেতারা। তাদের দাবি, যদি গঙ্গাসাগর মেলা হতে পারে,বিধিনিষেধ মেনে যদি তারাপীঠ মন্দির খোলা থাকতে পারে তাহলে কেন মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি বন্ধ থাকবে? পঞ্চাশ শতাংশ পর্যটক নিয়ে খোলা হোক হাজারদুয়ারি।
টোটো চালক সিরাজ শেখ বলে, “যদি পঞ্চাশ শতাংশ পর্যটক নিয়ে হাজারদুয়ারি কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলে দেয়, তাহলে আমাদের পেটের ভাতটা অন্তত পাওয়া যবে। আমরা লোন নিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু লোন পরিশোধ করতে পারছিনা।” আর এক টাঙা চালক বলেন, “আমাদের ঘোড়া পিছু প্রত্যেকদিন একশো টাকার বেশি খাবার লাগে। যদি পঞ্চাশ শতাংশ পর্যটক নিয়ে খোলা হয় তাহলে হয়তো ঘোড়ার খাবারটা যোগাড় করতে পারবো। ব্যবসায়ী সমিতির আরও ব্যক্তি জানান, “চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে আংশিক লকডাউন চালু হয়েছে। যার কারণে হাজারদুয়ারি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবার দেখা যাচ্ছে রাজ্যে পানসালা খোলা, পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস, ট্রেন সবই চলছে। রাজ্যের সব থেকে বড় মেলা গঙ্গাসাগর। সেই মেলাও হচ্ছে তাহলে হাজারদুয়ারি খুলবে না কেন। এই পর্যটনের সঙ্গে প্রচুর মানুষ জড়িয়ে। পর্যটন না খুললে করোনা নয়, না খেতে পেয়ে মারা যাবেন ওরা। তাই আমরা চাইছি হাজারদুয়ারি খুলে দেওয়া হোক।”
হাজারদুয়ারি খোলা না থাকলে আমরা খেতে পাবো না, কিছু আয় হলে কোনরকমে দিনটা যাবে, টাঙ্গা চালক রা বলেন যদি অন্তত 50 শতাংশ পর্যটন নিয়োগ হাজারদুয়ারি খোলা হয় তাহলে ঘোড়ার খাবারটা জোগাড় হবে।
আরও পড়ুন: Goa Assembly Election : “ভেবে দেখবে কংগ্রেস” ,গোয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট জল্পনায় ঘৃতাহুতি চিদম্বরমের