Murshidabad Unrest: এ কেমন নববর্ষ! মিষ্টির দোকান খুলল, মিষ্টি কেনার লোক নেই ধুলিয়ানে
Murshidabad Unrest: পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। নতুন করে গোলমালের খবরও পাওয়া যায়নি। তবে নববর্ষেও ধুলিয়ান শহরে সব দোকান খোলা নেই। বেশিরভাগ দোকানের শাটার পুরো বন্ধ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলাকায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ দোকান মাত্র খুলেছে।

ধুলিয়ান: আজ নববর্ষ। প্রতি বছর নববর্ষে ধুলিয়ান শহরে মিষ্টির দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। কিন্তু, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে গত কয়েকদিনের গোলমালে পরিস্থিতি এবার অন্য বছরের মতো নেই। তবে ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই, নববর্ষে মানুষ মিষ্টি কিনতে এবারও দোকানে ভিড় করবেন বলে আশা করেছিলেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকালেই দোকান খোলেন তাঁরা। সকাল সকাল রসগোল্লা এবং রসকদম্ব তৈরি করে দোকানে সাজিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু বেলা পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকজন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজন জওয়ান ছাড়া কেউ মিষ্টি কিনতে আসেনি।
ধুলিয়ান শহরের এমন একটি মিষ্টির দোকানে গিয়ে দেখা গেল, রসগোল্লা এবং রসকদম্ব-সহ অন্যান্য মিষ্টি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু গ্রাহক কই? ব্যবসায়ীরা বলছেন, আতঙ্ক এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তাই সাধারণ মানুষ এবার আর নববর্ষে আগের মতো মেতে ওঠেননি। মিষ্টি কিনতেও কেউ আসছেন না।
মিষ্টির দোকানের মালিক নীলম সাহা বলেন, “ভেবেছিলাম কিছু মিষ্টি অন্তত বিক্রি হবে। গত ৩-৪ দিন বন্ধ থাকার পর এদিন সকাল থেকে মিষ্টির দোকান খুলেছি। কিন্তু কেউ আসছে না। অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছে। মিষ্টি রাখা যায় না এই গরমে।” তাহলে কি ফেলে দেবেন? উত্তর নেই ওই ব্যবসায়ীর মুখে। বিষণ্ণ কণ্ঠে বললেন, আতঙ্কে যাঁরা বাড়িতে ঘুমোতে পারছেন না, তাঁরা মিষ্টি খেয়ে নববর্ষের আনন্দ পালন করবেন কীভাবে?
এই খবরটিও পড়ুন





বেশিরভাগ দোকান বন্ধ
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। নতুন করে গোলমালের খবরও পাওয়া যায়নি। তবে নববর্ষেও ধুলিয়ান শহরে সব দোকান খোলা নেই। বেশিরভাগ দোকানের শাটার পুরো বন্ধ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলাকায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ দোকান মাত্র খুলেছে। অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, গোলমালের সময় দোকানে লুট হয়েছে। এই অবস্থায় দোকান খুলে লাভ কী? তবে গোলমালকে দূরে সরিয়ে নববর্ষে নতুন করে আশার আলো দেখছে ধুলিয়ানের মানুষ। নববর্ষে তাঁদের একটাই প্রার্থনা, পরিস্থিতি যেন আগের মতো হয়ে যায়।





