Babri Masjid in West bengal: ‘মানুষের আবেগ নিয়ে কেন খেলছেন?’, হুমায়ুনের বাবরি মসজিদের জায়গা ঘিরে দিলেন মালিক
Murshidabad: জমির মালিক নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, "বাবরি মসজিদ একটা বিতর্কিত ইস্যু। সেই আবেগ নিয়ে কেন খেলতে চাইছেন? এটা ছ বিঘা জায়গা। এই জায়গার মালিক আমি। কাউকে জায়গা বিক্রি করিনি। আর বাবরি মসজিদ কোথায় হবে সেটা যিনি বানাবেন তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন।" এখানে উল্লেখ্য, হুমায়ুন বলেছিলেন, ছ'বিঘা জমি বাবরি মসজিদের জন্য তিনি কিনে নিয়েছেন।

মুর্শিদাবাদ: আগামী ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ওই দিন প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলেও জানিয়েছিলেন বিধায়ক। শিল্যানাসের আর বাকি এগারো দিন। কিন্তু তার আগেই বিপত্তি। যে জায়গায় বাবরি মসজিদ হবে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, সেই জায়গা এবার ঘিরে দিলেন জমির মালিক।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে এই বাবরি মসজিদ তৈরি হতে পারে বলে চর্চা হয়। তারপর আজ সকাল হতেই দেখা যায়, সেই জায়গা ঘিরে দেন ওই জমির মালিক নিজামুদ্দিন চৌধুরী। তিনি দাবি করে জানান, এই জমি যদি কেউ তাঁর কাছে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি বলে, তাহলে তিনি চিটিংবাজির কথা বলেছেন। তাঁর জায়গা খোলামেলা আছে বলে সবাই ভাবে এই জায়গায় বাবরি মসজিদ হবে। তিনি এও বলেছেন, বাবরি মসজিদ তৈরি করার থেকে আগে মুসলমানদের খোঁজ নিক, আগে পাড়ায় যেসব মসজিদ আছে সেগুলোর উন্নয়ন করুক।
জমির মালিক নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, “বাবরি মসজিদ একটা বিতর্কিত ইস্যু। সেই আবেগ নিয়ে কেন খেলতে চাইছেন? এটা ছ বিঘা জায়গা। এই জায়গার মালিক আমি। কাউকে জায়গা বিক্রি করিনি। আর বাবরি মসজিদ কোথায় হবে সেটা যিনি বানাবেন তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন।” এখানে উল্লেখ্য, হুমায়ুন বলেছিলেন, ছ’বিঘা জমি বাবরি মসজিদের জন্য তিনি কিনে নিয়েছেন। তবে এবার উল্টে সুরে গান গাইলেন জমির মালিক। তিনি আরও বলেন, “একদিন উনি যাচ্ছিলেন। সেই সময় এখানে বসেছিলেন। আর লোক ভাবছে, এখানে বসেছেন মানে এই জায়গা কিনে নিয়েছেন। এতেই মানুষ ভাবছে এখানেই হবে। আমি মসজিদ হওয়ার বিপক্ষে। সাধারণ মানুষ যাতে করে খাক সেই রকম কিছু করুক। আমরাও সাহায্য করব। কেন এই বিতর্কিত ইস্যুতে টানাহেঁচড়া?”
এখানে উল্লেখ্য, আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন বলে ঘোষণা করে হুমায়ুন বলেন, “ওই দিন ইসলাম সমাজেক ধর্মগুরুরা থাকবেন। মদিনা থেকে একজন আসবেন। এছাড়াও দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই থেকে আসবেন অনেকে। আব্বাস সিদ্দিকিকেও জানাব।” তিনি আরও বলেছিলেন, “আমি একজন মুসলিম। চক্রান্তের শিকার বাবরি মসজিদ। আর মসজিদ লিগ্যাল জায়গায় করা হয়।” হুমায়ুনের অনুমান ওই দিন প্রায় ২ লক্ষ লোক আসবেন মুর্শিদাবাদে। তিনি বলেন, “আমার নিজের ধারণা বাবরি মসজিদের শিলান্যাসে ২ লক্ষ লোক থাকবেন। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, উত্তরবঙ্গ এমনকী বীরভূম থেকেও প্রচুর মানুষ আসবেন।”
