নদিয়া: বিশ্বজুড়েই পালিত হচ্ছে নারীদিবস। আর আজকের দিনেই নারী নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য শাস্তি দিল রানাঘাট আদালত। মহিলাকে ধর্ষণ করার অপরাধে তিন দোষীকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হল। অপরাধীদের নাম মিজানুর মণ্ডল, সাহাজেল মণ্ডল, আবদুল হালিম।
কী ঘটেছিল?
দশ বছর আগের ঘটনা। তারিখটা ছিল ২২ অগাস্ট ২০১২। বনগাঁ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন এক মহিলা। তাঁর জা-কে পাওয়া যাচ্ছে না, এই অভিযোগেই ডায়রিটি করেন তিনি। জানা যায়, নিখোঁজ হওয়া মহিলা ছিলেন রান্নার মশলার ব্যবসা করতেন। হলুদ সহ বিভিন্ন মশলা বিক্রি করতেন তিনি। নিখোঁজ হওয়ার দিন মহিলা হলুদ বিক্রির পাওনা টাকা আদায় করতে চাকদা গিয়েছিলেন। এরপর রাত হলেও বাড়ি ফিরে আসেননি। স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। অনেক খোঁজা-খুঁজির পর তাঁর কোনও হদিশ না পেয়ে থানায় ডায়রি করা হয়।
পরবর্তী সময়ে নদিয়ার গাঙনাপুর থানা এলাকার দুবলি মাঠে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা এসে ওই মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, বিক্রেতা ওই মহিলাকে ফুঁসলিয়ে মিজানুর নিয়ে আসে দুবলি মাঠে। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল তার দুই সাগরেদ সাহাজেল মণ্ডল, আবদুল হালিম মণ্ডল। এই তিন দুষ্কৃতী মিলে ওই মহিলার গহনা লুঠ করে। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করে। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর পরনের শাড়ি খুলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিয়ে খুন করা। পরবর্তী সময়ে পুলিশ তদন্তে নেমে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ ১০ বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর আজ আদালত যাবজ্জীবন সাজা শোনালো। ফলে স্বভাবতই খুশি মৃতের পরিবার থেকে আইনজীবী মহল।
আরও পড়ুন: BJP MLA: ‘কে করেছে জানতে চাই’, হুমকি পোস্টারকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে পুলিশকে সাফ প্রশ্ন পদ্ম বিধায়কের!
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘লকেটের সঙ্গে কথা বলার পরও চলে গেল…’