Krishna Nagar: রাজবাড়িতে কে আগে ঢুকবে? জগদ্ধাত্রীর ভাসান ঘিরে ধুন্ধুমার কৃষ্ণনগরে, লাঠিচার্জ পুলিশের
Jagadhatri Idol Immersion: কৃষ্ণনগরের বাঘাডাঙা বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা রাজবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় অশান্তি শুরু হয়। নিমেষে চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বাধ্য় হয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
কৃষ্ণনগর: জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনকে ঘিরে ধুন্ধুমার কৃষ্ণনগরে। ব্যাপক বিশৃঙ্খলা কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিস মোড়ে। বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে হল পুলিশকে। দূর-দূরান্ত থেকে যারা কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে এসেছিলেন, তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দর্শনার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের বাঘাডাঙা বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা রাজবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় অশান্তি শুরু হয়। নিমেষে চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বাধ্য় হয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিসর্জনে যারা এসেছিলেন, তাদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয় বলেও অভিযোগ।
কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় নিয়ম আছে যে বারোয়ারি পুজোর প্রতিমাগুলি প্রথমে রাজবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর জলঙ্গি নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সেই রীতি মতোই বাঘাডাঙা সহ বেশ কয়েকটি বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা রাজবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ই প্রবল ভিড়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। ভিড় ও ধাক্কাধাক্কির চাপে আশেপাশে ব্যারিকেড ভাঙে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হওয়া নিয়েই পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে বিসর্জনে সামিল উদ্য়োক্তা ও সাধারণ মানুষদের। এরপরই অশান্তি শুরু হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠি চালাতে বাধ্য হয়।
হঠাৎ এই অশান্তিতে ভীত হয়ে পড়েন দূর দূরান্ত থেকে পুজো দেখতে আসা দর্শনাথীরা। ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। পরে পুলিশ মাইকিং করে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
প্রসঙ্গত, শুধু জগদ্ধাত্রী পুজোতেই নয়, এর আগে দুর্গা পুজো, কালী পুজোতেও একই ঘটনা ঘটেছিল বিসর্জনের সময়। তখনও পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল।