Suvendu on Abhishek: ‘সবাই জানে দুর্নীতির সঙ্গে কে জড়িত’, সিজিও প্রহর কাটতেই অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর
Suvendu on Abhishek: প্রসঙ্গত, ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গোটা ভারতের বিভিন্ন বিখ্যাত জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করছে বিজেপি। এদিন নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থান থেকেও মাটি সংগ্রহ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বঙ্গ বিজেপি। সেখানেই যেতে দেখা যায় শুভেন্দু।
ফুলিয়া: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একদিন আগেই ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিয়ে এসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে এজেন্সি রাজনীতির অভিযোগ তুলে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই পদ্ম শিবিরের দিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এবার সেই অভিষেককেই পাল্টা তোপ দাগলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আক্রমণ করলেন অভিষেকের স্ত্রীকেও। সাফ বললেন, “পশ্চিমবঙ্গের সবাই জানে দুর্নীতির সঙ্গে কে জড়িত! যার স্ত্রীর নামে কয়লার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকে।”
প্রসঙ্গত, ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গোটা ভারতের বিভিন্ন বিখ্যাত জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করছে বিজেপি। এদিন নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থান থেকেও মাটি সংগ্রহ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বঙ্গ বিজেপি। সেখানেই যেতে দেখা যায় শুভেন্দু। ফুলিয়ায় গিয়ে প্রথমেই তিনি কৃত্তিবাস ওঝার মূর্তির কাছে যান। মালা দেন। এরপর তাঁর জন্মভিটে পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে মাটিও সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে সভা মঞ্চে ওঠার পর থেকেই লাগাতার আক্রমণ শানাতে থাকেন ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে বুধবার সিজিও থেকে বেরিয়ে অভিষেক আবার বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেছিলেন, “সব দল ছেড়ে ইডি বেছে বেছে আমাকে নোটিস দিয়েছে। যারা রাজনৈতিকভাবে লড়তে পারে না, তারাই তদন্তকারী সংস্থার অপব্যহার করে রাজনৈতিক জমি ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করে।” যদিও শুভেন্দুর যুক্তি, “যে কাজ আমরা পারিনি সেই কাজ বিচারব্যবস্থা করে দিচ্ছে। সবাই তা দেখছে। আমরা এর জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” যদিও বুধবার সিজিও থেকে বেরিয়ে অভিষেকের সাফ দাবি ছিল, “জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস মাইনাস ২।”
এদিনই আবার সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও শুভেন্দু অভিষেকের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও জোরালো করেন শুভেন্দু। বলেন, “কে ডি সিংয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মামলা দায়ের করেছিল ও। এরপরেও আমি প্রায় সাড়ে ৮২ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। ওর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে কয়েক লক্ষ টাকা ঢুকেছিল। যার শ্যালিকা ভারত ছেড়ে পালিয়ে থাকে, যার মা-বাবার নামে লিভস এন্ড বাউন্ডস সংস্থা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই কোম্পানির প্রথমসারির এক কর্মচারি এখন জেলে।” এদিকে ইডি সূত্রে খবর, অভিষেকের পরিবারের সব সদস্যের সম্পত্তির নথি, আয়-ব্যয়ের হিসাবের দিকে নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। সব নথি চেয়েও পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে কিছু নথি ইতিমধ্যেই জমাও পড়েছে বলে খবর। অন্যদিকে এই সংক্রান্ত এক মামলায় আবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও, ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান চেয়েছেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহাও।