Fire breaks out in Kalyani Hospital: বর্ধমানের আতঙ্ক ফিরল কল্যাণীতে, জেএনএম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আগুন
Kalyani JNM Hospital: ওই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভিতরে সেই সময় এক রোগী ছিলেন। যদিও আগুন লাগার পরপরই তাঁকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে।
কল্যাণী : বর্ধমানের পর এবার কল্যাণী। আবার ফিরল আগুনের সেই বীভীষিকা। বর্ধমানের হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক রোগীর মৃত্যু এখনও আমাদের স্মৃতি থেকে যায়নি। তারই মধ্যে ফের আগুন হাসপাতালে (Fire in Hospital)। এবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল (Kalyani JNM Hospital)। এবারও আইসোলেশন ওয়ার্ড। তবে আগুন লাগার ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বড়সড় কোনও দুর্ঘটনার আগেই আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কী কারণে, হাসপাতালে আগুন লাগল, তা নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভিতরে সেই সময় এক রোগী ছিলেন। যদিও আগুন লাগার পরপরই তাঁকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে আগুন লাগার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কল্যাণীর জেএনএম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে যে রোগী ছিলেন, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দমকলে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত হাসপাতালে এসে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে আগুন নেভানোর কাজ। দমকল কর্মীদের তৎপরতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় হয়। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগুন লাগার ঘটনায় কেউ আহত হননি। দমকলকর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায়, হাসপাতালের সম্পত্তিরও বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আগুন লাগার কারণে, সাময়িকভাবে হাসপাতালের রোগী পরিষেবা আংশিক ব্যহত হয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বলেও জানা গিয়েছে। তবে সেই পরিস্থিতি বেশিক্ষণ ছিল না। অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এবং বিদ্যুৎ সংযোগও ফিরে আসে।
কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের সুপার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আইসোলেশন ওয়ার্ডে একজনই রোগী ছিলেন। ধোঁয়া দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।” তবে কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে। হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কেমন ছিল, তাও এখনও জানা যায়নি। এদিকে বার বার হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় ফের একবার রোগী সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : Idol incident: এ যেন সিনেমা! সকালেও পুজো হয়েছিল, সন্ধেবেলা ঠাকুরঘরে যেতেই চোখ কপালে ব্যক্তির