Hanshkhali Case: পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডের সাক্ষীকে ‘অপহরণ’
Hanshkhali Harassment: জানা গিয়েছে, গতকাল রাত্রি ৮টা নাগাদ মৃতের বাড়িতে ঢোকে কয়েকজন দুষ্কৃতী। নির্যাতিতার ছোট কাকাকে বাড়ি থেকেই চাদরে মুড়িয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। মারধরের পাশাপাশি খুনের হুমকি দেওয়া দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমনকী রানাঘাট আদালতে গিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা বলে দাবি পরিবারের।
নদিয়া: হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের উপর আবার হামলার অভিযোগ। শনিবার ভর সন্ধ্যে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, মৃত নির্যাতিতার সাক্ষী তাঁর ছোট কাকা। তাঁকেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, অভিযুক্তর পরিবারের ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীরা এই হামলা করেছে। পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকার পরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত্রি ৮টা নাগাদ মৃতের বাড়িতে ঢোকে কয়েকজন দুষ্কৃতী। নির্যাতিতার ছোট কাকাকে বাড়ি থেকেই চাদরে মুড়িয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। মারধরের পাশাপাশি খুনের হুমকি দেওয়া দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমনকী রানাঘাট আদালতে গিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা বলে দাবি পরিবারের।
এই ঘটনার পর কার্যত আতঙ্কে মৃত নির্যাতিতার পরিবার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই পরিবারকে নিরাপত্তা দিচ্ছিল পুলিশ। সেই নিরাপত্তার মধ্যেই কীভাবে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটাল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে বগুলা হাসপাতালে। সেখানেই নির্যাতিতার কাকা ভর্তি রয়েছেন বলে খবর।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নদিয়ার হাঁসখালিতে বছর চোদ্দর এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তদের চাপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় ওই কিশোরীর। এলাকার এক তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ। এরপর এই ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতে এখনও চলছে বিচার প্রক্রিয়া। তার মধ্যেই এই অপরহণের ঘটনা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ওই পরিবারের নিরাপত্তা।