AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kaliganj Minor Death: গ্রেফতার চার! ‘আসল উদ্দেশ্য’ পূরণ করতে না পেরেই তামান্নার প্রাণ কেড়ে নিল দুষ্কৃতীরা?

Kaliganj Minor Death: কিন্তু সে তো সবে ক্লাস ফোরের ছাত্রী। দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ-বিক্ষোভে কেন তাকে টানা হল? এই প্রশ্ন তৎক্ষণাৎ তুলেছিলেন তামান্নার মাও। সাহেব জানিয়েছেন, ওই দুষ্কৃতীদের হাতে-পায়ে ধরতে বাকি রেখেছিলেন তিনি। তাদের বারংবার বারণ করেছিলেন, যত্রতত্র বোমা হামলা না চালাতে।

Kaliganj Minor Death: গ্রেফতার চার! 'আসল উদ্দেশ্য' পূরণ করতে না পেরেই তামান্নার প্রাণ কেড়ে নিল দুষ্কৃতীরা?
বাঁদিকে মা, ডান দিকে তামান্নাImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Jun 24, 2025 | 11:18 AM
Share

কৌশিক ঘোষ ও মহাদেব কুণ্ডুর রিপোর্ট

নদিয়া: কালীগঞ্জে বোমার আঘাতে নাবালিকার মৃত্যু কি তবে ভোট পরবর্তী হিংসার নমুনা? নিহত তামান্নার কাকার মন্তব্য ঘিরে উঠছে তেমনই প্রশ্ন। এদিন তামান্নার কাকা সাহেব শেখ বলেন, ‘পর পর বোমা পড়ছিল। আমার আরেক ভাই, ওর নাম মোশাদুল শেখ। ওকে মারবে বলেই ওই দুষ্কৃতীরা হানা দিয়েছিল। কিন্তু ওকে না পেয়ে ওরা স্থানীয় শিশুদের লক্ষ্য করে সকেট বোমা ছুড়তে শুরু করে। ওদের নিশানায় সেই সময় আমিও পড়ে যাই।’

তিনি আরও জানান, ‘এরপরেই ওরা আমাকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে শুরু করে। কিন্তু আমাকে বাগে পায় না ওই দুষ্কৃতীরা। আমি ঘরের ভিতরে যেখানে শুয়ে ছিলাম, সেখানেও একটার পর একটা সকেট বোমা ফেলেছে ওই দুষ্কৃতীর দল। উত্তেজনা বাড়ছে বুঝে তখনই আমি ঘরের জানলা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাই। ওরা আমায় ধরতে পারে না। সেই রাগের শিকার হয় তামান্না।’

কিন্তু সে তো সবে ক্লাস ফোরের ছাত্রী। দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ-বিক্ষোভে কেন তাকে টানা হল? এই প্রশ্ন তৎক্ষণাৎ তুলেছিলেন তামান্নার মাও। সাহেব জানিয়েছেন, ওই দুষ্কৃতীদের হাতে-পায়ে ধরতে বাকি রেখেছিলেন তিনি। তাদের বারংবার বারণ করেছিলেন, যত্রতত্র বোমা হামলা না চালাতে। তারপরেও তারা নাকি কথা শোনেনি। সরাসরি নাবালিকার বুকে সকেট বোমা মেরে পালায় দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু হয় খুদের।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রধান চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা প্রত্যেকেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। ধৃতদের নাম আদর শেখ, মানোয়ার শেখ, কালু শেখ ও আনওয়ার শেখ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারই এই ঘটনায় অভিযুক্ত আদর শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর জেরায় বাকি তিন জনের নাম স্বীকার করে সে। আপাতত কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হবে এই চার অভিযুক্তকে। এছাড়াও, গোটা ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা সেই নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকায় তৈরি হয়েছে একটি পিকেটও।