Krishnanagar: চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অনাস্থা, ভাঙা হল কৃষ্ণনগর পৌরসভার কাউন্সিলর বোর্ড
Nadia: উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন ১৫ জন কাউন্সিলর দলীয় চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। চেয়ারপার্সন অনাস্থা সভা না ডাকলে ১১ জুলাই দ্বিতীয়বার প্রস্তাবটি দাখিল করা হয়। অচলাবস্থা অব্যাহত থাকায়, ২৩ জুলাই তিন তৃণমূল কাউন্সিলর, মলয় দত্ত, শিশির কর্মকার এবং সৌগত কৃষ্ণ দেব বিশেষ বোর্ড সভার আহ্বান করেন।

কৃষ্ণনগর: ভেঙে দেওয়া হল কৃষ্ণনগর পৌরসভার কাউন্সিলর বোর্ড। বোর্ড ভাঙার সিদ্ধান্ত রাজ্য পৌর দফতরের। পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট,১৯৯৩-এর ধারা ৪৩১-এর উপধারা (২)অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও পৌর বিষয়ক দফতরের (UDMA) তরফে জানা গিয়েছে।
এ দিন, জানা গিয়েছে বোর্ড ভেঙে দেওয়ার পর প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণের জন্য রাজ্য সরকার কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার সদর সাব-ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও)-কে কৃষ্ণনগর পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করেছে। এই নিয়োগ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং সর্বাধিক ছয় মাস পর্যন্ত বা নবনির্বাচিত কাউন্সিলর বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বহাল থাকবে।
লিখিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে,পৌর প্রশাসনের মসৃণ কাজকর্ম ও নাগরিক পরিষেবা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষে প্রধান সচিবের স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, নবনিযুক্ত প্রশাসক পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী পৌর কর্তৃপক্ষের সমস্ত ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করবেন যতদিন না নতুন বোর্ড গঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন ১৫ জন কাউন্সিলর দলীয় চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। চেয়ারপার্সন অনাস্থা সভা না ডাকলে ১১ জুলাই দ্বিতীয়বার প্রস্তাবটি দাখিল করা হয়। অচলাবস্থা অব্যাহত থাকায়, ২৩ জুলাই তিন তৃণমূল কাউন্সিলর, মলয় দত্ত, শিশির কর্মকার এবং সৌগত কৃষ্ণ দেব বিশেষ বোর্ড সভার আহ্বান করেন। এরপর সেখানেই গৃহীত হয় প্রাক্তন চেয়ারপার্সন রিতা দাসের অপসারণের প্রস্তাব। এই সব ঝামেলার পরই অবশেষে ভাঙা হল বোর্ড।
