নদিয়া: জীবিত আছেন। দিব্যি হেঁটে চলে বেড়াচ্ছেন। অথচ সরকারের খাতায় তাঁরা মৃত। নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে তাঁদের যার কারণে রীতিমত কালঘাম ছুটছে।
কী ঘটনা?
নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া প্রফুল্ল এলাকা। সেখানকার বাসিন্দা কৌশিক সরকার এবং মা রঞ্জিতা সরকার। কিছুদিন আগে তাঁরা রেশনের দ্রব্য আনতে ডিলারের কাছে যান। কিন্তু রেশন ডিলার জানায় রেশন কার্ডে তাঁরা দু’জনই মৃত। শুনেই আকাশ থেকে পড়েন তাঁরা। জীবিত থাকতেই কীভাবে মৃত হয়ে গেলেন বুঝতেই পারছেন না ওঁরা।
এরপর থেকে নিজেদেরকে জীবিত প্রমাণ করতে খাদ্য দফতর থেকে শুরু করে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকেরকাছে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তারা নিজেদেরকে জীবিত প্রমাণ করতে পারেননি। রীতিমত হতাশায় ভুগছেন সরকার পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি তাঁরা মৃত হওয়ার কারণে রেশনের প্রাপ্য অধিকার অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রেও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
এই বিষয়ে কী জানাচ্ছেন রঞ্জিতা সরকার?
তাঁর বক্তব্য, “গত মাস অবধি আমরা দিব্বি রেশন পেয়েছি। এই মাসে যখন আমার ছেলে প্রথম রেশন আনতে যায় সেই সময় দেখল যে রেশন পাওয়া যাবে না। কারণ রেশন কার্ড বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যাথারীতি আমার ছেলে জিজ্ঞাসা করে কী কারণে রেশন পাওয়া যাবে না? তখন রেশন ডিলার জানায় কার্ড অনুযায়ী আমরা মৃত। আমরা চাই যাতে রেশন কার্ড চালু থাকে। আণরা পর্যাপ্ত রেশন পাই।”অন্যদিকে, কৌশিক সরকার জানান, “আমাদের রেশন কার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ফুড সাপ্লাইয়ে জানতে যাই। ওরা বলে ডেথ কীভাবে হল জানি না। হয়ত অনলাইনে আবেদন জানানো হয়েছিল। আমি জানতে চাই যদি তাই হয়ে থাকে সেই রিপোর্ট দেখান আপনারা। কারণ মৃত্যুর সার্টিফিকেট ছাড়া আবেদন করা যায় না। এরপর ওইখান থেকেই বলা হয় তারা আমাদের কোনও রকম সাহায্য করতে পারবে না।”
যদিও এই বিষয়ে কোনও কথাই বলতে চাননি শান্তিপুর ব্লকের খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Budget 2022: কারা রয়েছেন অর্থমন্ত্রীর বাজেট দলে, তাঁদের বিশেষত্বই বা কী!
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee on Omicron: বাংলায় প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজে সাবধানবাণী শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী