Supreme Court: মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না যৌনকর্মীরা, দিতে হবে রেশন, আধার, ভোটার কার্ড; নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Fundamental Rights: শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার কেন্দ্র, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে যৌনকর্মীদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং রেশন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।
নয়া দিল্লি: কে কী কাজের সঙ্গে যুক্ত, সেই সব নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। মঙ্গলবার এক মামলার পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার কেন্দ্র, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে যৌনকর্মীদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং রেশন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। তাঁদের কাছে শুকনো রেশন সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
যৌনকর্মীদের স্বার্থের কথা ভেবে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ
কোভিড-১৯ অতিমারি পরিস্থিতির কারণে দেশের যৌনকর্মীদের একটি বড় অংশ নানবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। গত বছর সেই সংক্রান্তই একটি আবেদনের শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্ট যৌনকর্মীদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র ও অন্যান্যদের নির্দেশ দিয়েছিল শুকনো রেশন সরবরাহের জন্য। এর জন্য তাঁদের কোনও পরিচয় পত্রের প্রমাণ দেখানোর প্রয়োজন নেই বলেও বলা হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি বি আর গভই এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্নর একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, যৌনকর্মীদের রেশন কার্ড দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশাবলী ২০১১ সালে পাস হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি এখনও পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি।
এখনও পর্যন্ত কেন ব্যবস্থা নয়
শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, “রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রায় এক দশক আগে যৌনকর্মীদের রেশন কার্ড এবং পরিচয়পত্র ইস্যু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত কেন এই নির্দেশগুলি কার্যকর করা হয়নি তার কোনও কারণ নেই।”
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, “দেশের প্রতিটি নাগরিককে তার পেশা নির্বিশেষে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের নাগরিকদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা সরকারের একটি বাধ্যতামূলক দায়িত্ব রয়েছে।” কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, “অবিলম্বে রেশন কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড এবং আধার কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করুন।”
এক মাসের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট
বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, এই কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (NACO) এবং রাজ্য এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটিগুলির সাহায্য নিতে পারে। এই ধরনের সম্প্রদায়-ভিত্তিক সংস্থাগুলির দেওয়া তথ্য যাচাই করার পরে যৌনকর্মীদের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, “যৌন কর্মীদের রেশন কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড এবং আধার কার্ড দেওয়া সংক্রান্ত স্ট্যাটাস রিপোর্ট আজ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করা হবে এবং এর মধ্যে, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তাঁদের জন্য শুকনো রেশন বিলি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য আগের নির্দেশ মতো রেশন কার্ড এবং পরিচয়ের অন্যান্য প্রমাণপত্র দেখানোর উপর জোর দেওয়া যাবে না।”