Nadia: কালীপুজোর শোভাযাত্রা থেকে কুলকুচি করে মদ ছেটানো হল বৌদির গায়ে… শান্তিপুরে পরের ঘটনা ভয়ঙ্কর
Nadia: নিমেশের মধ্যেই রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, মদের বোতল দিয়ে স্বামী স্ত্রী এবং তাঁর এক বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে রাস্তায় পাশে একটি ওষুধের ঢোকানে ঢুকে পড়েন তাঁরা। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নদিয়া: কালীপুজোর শাভাযাত্রা থেকে গৃহবধূর গায়ে মদ ছেটানোর অভিযোগ। মুখ থেকে মদ বার করে মহিলার গায়ে ছেটানোর অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় মদের বোতল দিয়েই ওই গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্র নদিয়ার শান্তিপুর। নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই যুবকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ী করা হয় শান্তিপুর থানায়। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর রেল স্টেশন এবং গোডাউন মাঠের দিক থেকে পরপর তিনটি ঠাকুরের শোভাযাত্রা যাচ্ছিল কাশ্যপপাড়ার দিকে। শোভাযাত্রা থেকে মহিলার গায়ে মদ ছেটানো হয় বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, হাঁওই মহিলা তখন প্রতিবাদ করেন। এরপর মুখে কুলকুচি করে মদ ছেটানো হয় মহিলার গায়ে। স্ত্রীকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রতিবাদ করেন স্বামী। অভিযোগ, দু’জনকেই বেধড়ক মরধর করা হয় বলে অভিযোগ।
নিমেশের মধ্যেই রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, মদের বোতল দিয়ে স্বামী স্ত্রী এবং তাঁর এক বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে রাস্তায় পাশে একটি ওষুধের ঢোকানে ঢুকে পড়েন তাঁরা। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উত্তেজনা সামাল দিতে যায় দুই সিভিক ভলেন্টিয়র এবং এলাকার যুবকরা। আক্রান্তদের স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। তবে নির্যাতিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার স্বামী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানাচ্ছেন, প্রথমে মদ ছিটে এসে স্ত্রীর গায়ে লাগায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্বামী। শোভাযাত্রার মধ্যে থেকে কয়েকজন পুজো উদ্যোক্তা ক্ষমাও চান। কিন্তু তা কোনওভাবে মানতে চাননি নির্যাতিতার স্বামী। তিনি ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও কিছু প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন এ ধরনের আচরণের জন্য দুই একজন যুবক ক্ষমা চেয়েছিলেন তবে স্ত্রীর প্রতি এ ধরনের অমানবিক এবং নোংরা ব্যবহারে স্বামী সৌরভ কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনি তাই তিনি উত্তেজিত হওয়ার পরেই অন্যান্য পুজো উদ্যোক্তারা ছুটে আসে এবং পরিস্থিতি কিছুটা সময়ের জন্য রণক্ষেত্র তৈরি হয়। যদিও ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে।ইতিমধ্যেই পুলিশ স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্ত শুরু করেছে।