বাড়ির সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ে নিথর মা, পাশেই দু’বছরের মেয়ে! উঠে এল সোনার চেন তত্ত্ব

নাজমুল বললেন, "রাতেই পুলিশকে বলেছিলাম। পুলিশ আরও একটু সক্রিয় হলে আমার বউ বাচ্চাকে বাঁচানো যেত।"

বাড়ির সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ে নিথর মা, পাশেই দু'বছরের মেয়ে! উঠে এল সোনার চেন তত্ত্ব
অভিযুক্তের বাড়িতে চলে ভাঙচুর
Follow Us:
| Updated on: Feb 05, 2021 | 12:50 PM

নদিয়া: মেয়ের জন্য সোনার হার তৈরি করেছিলেন। প্রতিবেশীর সেটি পছন্দ হয়। তিনিও চেয়েছিলেন ওইরকম নক্সারই একটি হার তৈরি করে নিজের সন্তানকে দেবেন। ফোন করে এই কথা জানিয়েই এক মহিলা ও তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যান তাঁদের প্রতিবেশী মহিলা। এরপর সেই প্রতিবেশী মহিলার বাড়ির সামনে থেকেই উদ্ধার হয় মা-মেয়ের নিথর দেহ। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য নদিয়ার (Nadia) চাপড়ায়। অভিযুক্তের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর গ্রামবাসীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন চাপড়ার নাজমুল মণ্ডলের স্ত্রী মমতাজ ও তাঁদের দু’বছরের মেয়ে। নাজমুলের দাবি, প্রতিবেশী ইসমাইলের স্ত্রী তহুরা মণ্ডল তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। সম্প্রতি নাজমুল তাঁর মেয়ের জন্য একটি সোনার চেন তৈরি করেন। তাঁর দাবি, তহুরাও সেই চেনের নক্সায় আরেক হার তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সেই ছবি তোলার জন্য মমতাজ ও তাঁর মেয়েকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান তহুরা। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি তাঁরা।

বাড়ির সামনেই পড়ে রয়েছে মা মেয়ের দেহ

ইসমাইল বাকি প্রতিবেশীদের সঙ্গে তহুরার বাড়িতে খোঁজ করেন। কিন্তু তহুরা তাঁদের জানিয়ে দেন, ‘মমতাজ মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে গেছেন অনেক আগেই।’ সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করেন নাজমুল। খোঁজ না পেয়ে রাতেই থানায় খবর দেন তিনি। অভিযোগ, পুলিশ সেরকম কোনও পদক্ষেপ করেনি।

আরও পড়ুন: ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে ধোঁয়া, দাউ দাউ করে জ্বলছে বিছানা-গদি, মাঝে শুয়ে বাড়ির বড় ছেলে!

শুক্রবার সকালে নাজমুলের বাড়ির সামনে থেকেই উদ্ধার হয় মমতাজ ও তাঁর মেয়ের নিথর দেহ। তারপর থেকে তহুরার আর কোনও খোঁজও পাননি প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উত্তেজিত গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ইসমাইল কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। তাঁর স্ত্রীও পলাতক। ফাঁকা বাড়িতে বেপরোয়া ভাঙচুর চালান গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন: জোড়াবাগান কাণ্ড: দারোয়ানের মোবাইলে অসংখ্য পর্ন ভিডিয়ো, শিশুর পাকস্থলীতে মিলল চিপস, বিরিয়ানি

নাজমুল বললেন, “রাতেই পুলিশকে বলেছিলাম। পুলিশ আরও একটু সক্রিয় হলে আমার বউ বাচ্চাকে বাঁচানো যেত।”