নদিয়া: ফেসবুকে লাইভের সুইচটা অন করে ফেলেছিলেন। লাইভ চলছিল। বেশ কিছু ‘ভিউয়ার্সও’ ছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই কমেন্ট করছিলেন, যাতে এমনটা না করেন যুবক। কিন্তু নিজের মতন কথা বলে যাচ্ছিলেন যুবক। ফ্যানে দড়ি টাঙিয়েও ফেলেন। যতক্ষণে পরিচিত কেউ তাঁর লাইভ দেখে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, ততক্ষণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন যুবক। ফেসবুক লাইভে এসে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুরের বাসন্তী পাড়া এলাকায়। মৃত যুবকের নাম রবি বিশ্বাস (২১)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ ওই যুবক তাঁর নিজের ঘরেই ছিলেন। তিনি যে ফেসবুক লাইভ করছিলেন, তা বাড়ির লোক জানতেন না। যুবকের মা জানান, তিনি সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। তাঁর ছেলে ফোন সবসময়ই ঘাটত, তখনও ফোন হাতড়াচ্ছিলেন। সেটা দেখেই বাড়ি থেকে বের হন। রাত নটা নাগাদ তাঁকে খাওয়ার জন্য ডাকছিলেন তিনি। কিন্তু দরজা না খোলায় সন্দেহ দানা বাঁধে। সাড়াও মিলছিন না রবির। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পরিবারের সদস্যরা। রবিকে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা।
তড়িঘড়ি ওই যুবককে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যুবকের পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, রবি কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকতেন। তাঁর স্ত্রী থাকতেন বাপেরবাড়িতে। ৭ দিন আগে শান্তিপুরের নিজের বাড়িতে আসেন রবি। কিন্তু ওই যুবক কী কারণে এমন কাজ করলেন, তা নিয়ে কোনও দিশাই খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, স্বামীর পরিণতি শুনে রবির স্ত্রী রূপালি বিশ্বাস শ্বশুরবাড়িতে আসেন। এই ঘটনায় স্ত্রী রূপালি বিশ্বাসকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোনও উত্তরই দেননি। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমাদের এক ভাগ্নি দেখতে পেয়েছিল লাইভটা। ওই আমাদের খবর দেয়। আমরা যতক্ষণে দৌড়ে আসি, ততক্ষণে সব শেষ।”