Pradhan Mantri Awas Yojana: একে তৃণমূল নেতা, তার উপর দোতলা বাড়ি, ওষুধের দোকান, জমি, পুকুর…,নাম উঠেছে আবাস যোজনায়
Nadia: সুব্রতবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক লক্ষের কাছাকাছি হবে। তারপরও তার নাম জ্বলজ্বল করছে আবার যোজনার নামের তালিকায়।
নদিয়া: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবাস যোজনা নিয়ে সরগরম গোটা বাংলা। প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত গুচ্ছের-গুচ্ছের দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। বড়-বড় বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নাম উঠছে আবাসের তালিকায়। আর যাঁরা নিঃস্ব তাঁরা ব্রাত্যই থেকে যাচ্ছেন। নদিয়ার চাকদহের চিত্রটাও এমনই।
জানা গিয়েছে, চাকদহের শিরিন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উদবাস্তু কমিটির ব্লক সভাপতি সুব্রত হালদার। ২০২১ থেকে তৃণমূল করছেন তিনি। তাঁর পাকা বাড়ি রয়েছে। আছে ওষুধের দোকান, জমি ইত্যাদি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সুব্রতবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক লক্ষের কাছাকাছি হবে। তারপরও তার নাম জ্বলজ্বল করছে আবার যোজনার নামের তালিকায়।
তৃণমূল নেতা সুব্রত হালদারের স্ত্রী মুনমুন হালদার স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “এই পুরো বাড়িটি আমাদের। আর পাশের বাড়িটিতে আমাদের পুরো পরিবার থাকে।” তৃণমূল নেতার দাদা বলরাম হালদার বলেন, “ওর নাম কী করে আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে তা আমি জানি না।” অপরদিকে, এলাকার পঞ্চায়েত সমিটির সভাপতি হরপ্রসাদ হালদার বলছেন, সুব্রতরা চাইলে অন্য কাউকে বাড়ি দিতে পারেন। এরপর কার্যত স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, “না আবাসের বাড়ি পাওয়ার যোগ্য ওরা নয়। তবে আমার মনে হচ্ছে এর পিছনে কোনও অভিসন্ধি আছে।”
এ দিকে, আবাস যোজনার তালিকায় সুব্রতবাবুর নাম দেখে কার্যত হতবাক এলাকাবাসী।স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “সুব্রত হালদারকে এমনি চিনি।” তবে তাঁর বাড়ি পাওয়ার বিষয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাইলেন না বাসিন্দারা।
অপরদিকে, সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, প্রভাব খাঁটিয়ে আবাসের তালিকায় নাম তুলেছেন তিনি। যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর দাবি সবই ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, “যা নিয়মকানুন রয়েছে তাতে আমার বাড়ি পাওয়ার কথা নয়। এটা উপর থেকে কারা দিয়েছে, কেন দিয়েছে, কিছুই আমি জানি না। আমার তো মনে হয় চক্রান্ত। কী কারণে ঘর দিতে আসবে?”
তবে তিনি একা নন, তাঁরা দাদা-বৌদির নামও রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। সেই বিষয়ে সুব্রতবাবু বলেন, “পিযুষ হালদার যেটা লেখা আছে ওদের ঘরের প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রয়োজন নেই। আসলে ঘরের এই সিস্টেমটাই জানা নেই।”