BSF Jawan: BSF জওয়ান গয়েশ বিশ্বাসকে এইভাবে দেখতে হবে কেউ কল্পনাও করেননি
BSF: আজ দুপুরে বিএসএফের তরফে তাঁর স্ত্রীর ফোনে একটি ফোন আসে। স্ত্রীকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানাতে না চাইলেও মৃতের ভাইকে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে বিএসএফের অন্যান্য কর্তারা।

নদিয়া: পোস্টিং ছিলেন মণিপুরে। দু’দিন আগেই ফেরার কথা ছিল বাড়িতে। কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকায় ফিরতে পারেননি। বুধবার বাড়িতে এল দুঃসংবাদ (BSF Jawan)। পরিবার শুনতে পেল কফিনবন্দি অবস্থায় ফিরবে বাড়ির ছেলের দেহ। এলাকায় শোকের ছায়া। জলজ্যান্ত ছেলেটাকে এই অবস্থায় দেখতে হবে বাড়ির কেউ ভাবতেই পারেননি।
নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ফুলিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা গয়েশ বিশ্বাস। ২০০২ সালে বিএসএফের কর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূত্রে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারে রয়েছে বাবা-মা সহ তাঁর তিন সন্তান এবং স্ত্রী। তিনি কর্মরত ছিলেন মণিপুরে।
আজ দুপুরে বিএসএফের তরফে তাঁর স্ত্রীর ফোনে একটি ফোন আসে। স্ত্রীকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানাতে না চাইলেও মৃতের ভাইকে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে বিএসএফের অন্যান্য কর্তারা। তাঁর ভাইকে সরাসরি জানানো হয় শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই বিএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই খবর বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, গয়েশ বিশ্বাস কিছুটা খামখেয়ালি ছিলেন। এর আগেও তাঁর শারীরিক অসুস্থতা ধরা পড়েছিল। কিন্তু সেই ভাবে সেই নিজের অসুস্থতা নিয়ে গুরুত্ব দিতেন না তিনি। তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের তরফেও তাঁকে একাধিকবার সঠিকভাবে শারীরিক চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আজ অসাবধানতার কারণেই হয়ত এই ঘটনা। এ প্রসঙ্গে মৃতের ভাই বলেন, “উনি আমার কাকার ছেলে। দুপুর নাগাদ ওঁর অফিস থেকে ফেন এল। তখন শুনলাম স্ট্রোকে হয়ে মারা গিয়েছেন।”





