Nadia: ‘ছেলের সংসারে থাকতে হলে ছেলে-বৌ-এর কথা শুনতেই হবে’, মা-বাবার আত্মহত্যার পর বললেন ছেলে
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত এক মাস আগে রিনা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হন। সেই কারণে ঠিকমত চলাফেরা করতে পারে না। স্বামী নারায়ণ তাঁকে সবসময় সাহায্য করতেন। তবে ছেলে-বৌমা সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারিবারিক অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, নারায়ণ একটু রাগী স্বভাবের ছিল।

নদিয়া: পারিবারিক অশান্তির জের। বিষ খেয়ে আত্মঘাতি এক দম্পতি। অভিযোগ, সংসারে প্রতিদিন অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিবাদী পল্লী এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা দম্পতি নারায়ণ সিংহ এবং রিনা সিংহ। নারায়ণ সিংহের বয়স ৭২ বছর এবং রিনা সিংহের বয়স ৬৫ বছর।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত একমাস আগে রিনা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হন। সেই কারণে ঠিকমত চলাফেরা করতে পারে না। স্বামী নারায়ণ তাঁকে সবসময় সাহায্য করতেন। তবে ছেলে-বৌমা সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারিবারিক অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, নারায়ণ একটু রাগী স্বভাবের ছিল। তাঁর ছেলে বলেন, “মায়ের শরীর খারাপ হওয়ার পর বাবার রাগ আরও বেড়ে যায়। মাঝে মধ্যেই এই নিয়ে বৌমাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হত। গতকাল কোনও একটি বিষয়ে বৌমার সাথে কথা কাটাকাটি হয়।”
জানা যাচ্ছে, বৌমার সঙ্গে অশান্তির পর নারায়ণ অভিমানবশত প্রথমে স্ত্রী রিনা সিংহকে বিষ খাওয়ান। তারপরে নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি তাদের শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসা চলাকালীন প্রথমে রিনা সিংহের মৃত্যু হয়। পরবর্তীকালে নারায়ণ সিংহ মারা যান। ঘটনায় রীতিমতো নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়, শান্তিপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ দুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য শান্তিপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর এ দিন মা-বাবার মৃত্যুর পর ছেলে বলেন, “ছেলের সংসারে থাকতে হলে ছেলে-বৌ-এর কথা শুনতেই হবে এটাই স্বাভাবিক। উনি জেদি ছিলেন। এর আগও বিষ খেয়ে আত্মহত্য়ার চেষ্টা করেছিলেন।”
