AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Krishnagar: নিজের গায়ে নিজেই আগুন লাগিয়েছিল কৃষ্ণনগরের তরুণী? পুলিশি তদন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য

Krishnagar: পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অভিযুক্ত প্রেমিক মৃত ছাত্রীকে না জানিয়ে অন্য এক তরুণীর সঙ্গে রানাঘাটে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু সেটি কোনওভাবে মৃত ছাত্রী জেনে যায়। রাত ১০টা ১২ মিনিট নাগাদ অভিযুক্ত তাঁর এক বন্ধুর ফোন দিয়ে মৃত ছাত্রীর সঙ্গে শেষবার কথা বলেছিল।

Krishnagar: নিজের গায়ে নিজেই আগুন লাগিয়েছিল কৃষ্ণনগরের তরুণী? পুলিশি তদন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2024 | 12:04 AM
Share

কৃষ্ণনগর: পুজোর সময় নদিয়ার কৃষ্ণনগরে এক তরুণীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে এক তাঁর প্রেমিককে। ধৃতকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর তাঁকে জেরা করে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। আবারো সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন চেয়েছে পুলিশ।

পুলিশ তদন্তে অভিযুক্ত প্রেমিকের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর হদিশ পেয়েছে। মৃত ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার আগে অভিযুক্ত ছিল বিবাহিত। তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর এলাকায়। খোঁজ পাওয়ার পরই তাঁকে কোতোয়ালি থানায় ডেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অভিযুক্ত তাঁর বন্ধু সৌরভের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা হয় ওই তরুণীর। ছাত্রীর মৃত্যু নিয়েও দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা হয়। সেই কথোপকথনের অডিয়ো হাতে পেয়েছে পুলিস।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৫ তারিখ দুপুর ১২ থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযুক্তর বন্ধুকে একুশবার ফোন করে ওই ছাত্রী। প্রমিকের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য জোর করে। কারণ প্রেমিককে ফোন করলেও সে ফোন ধরেনি। বিরক্ত হয়ে ফোন সুইচ অফ করে রাখেন প্রেমিক।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ১৫ তারিখ দুপুর দুটোর সময় ওই ছাত্রী প্রেমিকের বন্ধু সৌরভকে ফোন করে জানায় সে আত্মহত্যা করবে বলে কেরোসিন ও দেশলাই কিনেছে। বিকাল চারটের সময় সৌরভ সেই কথা অভিযুক্তর প্রথম স্ত্রীকে জানায়। তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসিও করেন তাঁরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ছাত্রীর কাকার দোকান আছে সেখানে কেরোসিন বিক্রি হয়, এছাড়াও তার বাড়িতেও কেরোসিন ব্যবহার হয়। সম্ভবত সেখান থেকেই কেরোসিন সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল সে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ভ্যানিটি ব্যাগ ও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কেরোসিনের বোতল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে বোতলটি অনায়াসে ব্যাগে ঢুকে যায়। তা থেকে পুলিশের অনুমান ওই ব্যাগে করেই ছাত্রী কেরোসিনের বোতল নিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া ব্যাগ থেকেও কেরোসিনের গন্ধ মিলেছে।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অভিযুক্ত প্রেমিক মৃত ছাত্রীকে না জানিয়ে অন্য এক তরুণীর সঙ্গে রানাঘাটে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু সেটি কোনওভাবে মৃত ছাত্রী জেনে যায়। রাত ১০টা ১২ মিনিট নাগাদ অভিযুক্ত তাঁর এক বন্ধুর ফোন দিয়ে মৃত ছাত্রীর সঙ্গে শেষবার কথা বলেছিল। কারণ, প্রেমিকের ফোন সেই সময় সুইচ অফ ছিল। তারপর রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ মৃত ছাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানায়,’আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’এমনকী অডিও বার্তাও দেয়। অভিযুক্ত ও মৃত ছাত্রীর বন্ধুরা সেটা দেখে ও শুনে ফোনাফোনি শুরু করে। তখনই অভিযুক্ত প্রেমিকের বন্ধু সৌরভ ফোন করে সোনারপুরের ওই তরুণীকে।