AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: ‘কেন থামবে না ট্রেন?’ ২৫ ঘণ্টা পেরিয়েও জালালখালিতে গড়াল না রেলের চাকা

Rail Strike: মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু করে গোটা একদিন কৃষ্ণনগরের কাছে জালালখালি হল্ট স্টেশনে অবরোধে অচল হয়ে রইল শিয়ালদহ থেকে লালগোলা রেলযাত্রা।

Nadia: 'কেন থামবে না ট্রেন?' ২৫ ঘণ্টা পেরিয়েও জালালখালিতে গড়াল না রেলের চাকা
জালালখালিতে রেল অবরোধ, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2021 | 7:37 PM
Share

নদিয়া: গোটা একদিন। গোটা একদিন পেরলেও জালালখালি হল্টে গড়াল না রেলের চাকা (Rail Strike)। সমস্ত ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে রেল অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধের জেরে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকে একাধিক ট্রেন। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সপ্তাহের শুরুর দ্বিতীয় দিনে এমন বিপত্তিতে কার্যত সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু করে গোটা একদিন কৃষ্ণনগরের কাছে জালালখালি হল্ট স্টেশনে অবরোধে অচল হয়ে রইল শিয়ালদহ থেকে লালগোলা রেলযাত্রা। এদিকে শিয়ালদহগামী ট্রেন জালালখালি স্টেশনের কিছুটা আগেই আটকে দেন অবরোধকারীরা। তাঁদের দাবি, ওই হল্ট স্টেশনে সমস্ত ট্রেন থামাতে হবে। শিয়ালদহের ডিআরএম এসে লিখিত না দিলে তাঁরা নড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

এক বিক্ষোভকারীর কথায়, “আমরা অনেকদিন ধরে বলেছি। জানিয়েছি, আমাদের সমস্যার কথা। কিন্তু লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে আমরা এই পথ বেছে নিয়েছি। নেতা আসে নেতা যায়। কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ হয় না।” বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জালালখালি থেকে প্রচুর চাষি কলকাতায় ফুল ও অনাজ নিয়ে যান। এলাকায় কোনও হাইস্কুল না থাকায় প্রচুর পড়ুয়া প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণনগর বা বাদকুল্লার স্কুলে পড়তে যায়। ট্রেন না থামায় সমস্যায় পড়ছেন অনেকে।

এদিকে, অবরোধকারীদের বিক্ষোভের জেরে সমস্যায় পড়েছেন অনেকে। ট্রেনের কামরায় বসে কেঁদে ফেলেন বছর পঞ্চাশের এক যাত্রী। তাঁর স্বামী কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। চোখের জল ফেলতে ফেলত জানান, তিনি না পৌঁছলে চিকিত্‍সাই হবে না। প্রৌঢ়ার কান্না দেখে এগিয়ে আসেন এক যুবক। যত্ন করে তাঁকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন। শহরে পৌঁছতে লোক তখন জালালখালি বাসস্ট্যান্ডের দিকে ছুটছে।

এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জিআরপি এবং আরপিএফ এসে বোঝানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভরকারীরা নিরস্ত হননি। প্রায় সাডে় চারঘণ্টা পর ট্রেনটিকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়। যাত্রীরা ট্রেন ফাঁকা করে বাসস্ট্যান্ডের দিকে ছোটেন। জালালখালি প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদানন্দ বিশ্বাস বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি মানুষের প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আমাদেরও কিছু করার নেই।

বুধবার  ঘটনাস্থলে যান কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক চিত্রদীপ সেন। তিনি বলেন, “অবরোধ তুলে নিলে ডিআরএম বুধবারই নিজের দফতরে প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওঁরা তাতেও রাজি হননি।” যদিও, পরে এদিন বিকেলেই ডিআরএম মারফত অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন: Shantipur By-Election 2021: ধোপে টিকল না বিতর্ক, বিজেপির জেতা কেন্দ্রেই জয় ছিনিয়ে নিল ঘাসফুল