Sukanta Majumdar: কলকাতাকে তো লন্ডন করতে পারলেন না, চোপড়াকে তালিবান বানিয়ে দিলেন: সুকান্ত

Chopra: বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, "চোপড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা আরও একবার প্রমাণ করল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মহিলাদের সুরক্ষা কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। যেভাবে গণপিটুনি হচ্ছে। তালিবানের মতো শাসন তো এটা।"

Sukanta Majumdar: কলকাতাকে তো লন্ডন করতে পারলেন না, চোপড়াকে তালিবান বানিয়ে দিলেন: সুকান্ত
সুকান্ত মজুমদারImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

Jun 30, 2024 | 8:08 PM

নদিয়া: রবিবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োয় আতকে উঠেছে গোটা বাংলা। রাস্তায় ফেলে যুবক-যুবতীকে লাঠির গোছা দিয়ে নির্মমভাবে অমানবিক মারধরের ভিডিয়ো ধরা পড়েছে সেখানে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা। তবে ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত তাজমুল ওরফে জেসিবিকে। এদিকে রবিবারের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘এখন তো দেখছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাকে তো লন্ডন করতে পারলেন না, চোপড়াকে তালিবান বানিয়ে দিলেন।’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “চোপড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা আরও একবার প্রমাণ করল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মহিলাদের সুরক্ষা কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। যেভাবে গণপিটুনি হচ্ছে। তালিবানের মতো শাসন তো এটা।” রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারে রবিবার সন্ধেয় পায়রাডাঙায় গিয়েছিলেন সুকান্ত। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারের মাঝেই চোপড়ার ইস্যু নিয়েও রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনায় সরব বঙ্গ বিজেপির সভাপতি।

প্রসঙ্গত, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ব্যক্তি তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। চোপড়ার এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের সঙ্গে। তিনি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, “জেসিবিদের ডেকে পাঠিয়েছি। বিষয়টি কী দেখতে হবে তো। সবাই তৃণমূলের। এটিকে তিল থেকে তাল করা হচ্ছে।” তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনও বলেছেন, ‘ তৃণমূলের বিধায়ক যদি এটা স্বীকার করে থাকেন, তাহলে প্রমাণ হয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা এগুলিকে সমর্থন করেন না। এগুলি দেখে বিরোধীদের শেখা উচিত।”