চাকদহ: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ঝড় তুলতে ফের নদিয়ায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর সমর্থনে চাকদহে করলেন সভা। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আক্রমণ শানালেন বিজেপির বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তাঁর সরকারের হাত ধরে চালু হওয়া একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়েও এবার কথা বলেন। প্রতিশ্রুতি দিলে যে তিনি কথা রাখেন, তাও বলেন সোচ্চারে। এদিকে ৭ তারিখ রাজ্যে তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। ১৩ তারিখ চতুর্থ দফায় ভোট রানাঘাট, কৃষ্ণনগরে। এদিন চাকদহের সভা থেকে মমতা বলেন..
নরেন্দ্র মোদীর ফুটো ভাঁড়। মিথ্যা কথা বলে রোজ প্রচার করছে। বলছে বিনা পয়সায় গ্যাস দিচ্ছি, বিদ্যুৎ দিচ্ছি। বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছি। সবই গ্যাস বেলুন। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে আমরা রেশন দিই। মোদী দেয় না। চ্যালেঞ্জ করে গেলাম। নিজের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রচার করছে। কিন্তু একশোদিনের কাজে গরিব লোকগুলিকে মজুরি দিল না। আমরা এখন থেকে কর্মশ্রী চালু করেছি। জব কার্ড হোল্ডাররা ৫০ দিনের কাজের গ্যারেন্টি দিচ্ছি। দিল্লির ভিক্ষা চাই না।
আমি এনআরসি কোনওদিন করতে দেব না। আপনাদের কোনও অধিকার কোনওদিন কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। অসমে বিজেপি ১৯ লক্ষ হিন্দুকে ঘর ছাড়া করে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিল। এসব বাংলায় হবে না। তাই আমায় গালাগালি দেয়। আমাদের টাকা বন্ধ করে দেয়। আমার কিছু যায় আসে না। আমি যখন বলছি এনআরসি করতে দেব না। তখন দেবই না।
কেন মুকুটমণি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে এল? ওরা সবাই জানে এ ঘটনা। লজ্জায় শিউরে ওঠে। এদের ভোটে দাঁড়ানোর মতো অধিকার আছে? ক্ষমতা আছে? কিচ্ছু নেই। মতুয়াদের ঠকিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে বলল মতুয়া ভোট দাও তোমাদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেব। ২০১৯ সালে বলল মতুয়া ভোট দেব তোমাদের নাগরিকত্ব দেব। ২০২১ সালে বললে সিএএ করে দেব। এখন ২০২৪ সালে বলছে একটা CAA নোটিফিকেশন করেছে। কেউ যায়নি। যে যাবে সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি হয়ে যাবে। তারমানে আপনাদের বিদেশি করার পরিকল্পনা করেছে। লজ্জা করে না?
কেন্দ্রের প্রতিনিধি মাননীয় রাজ্যপালের কীর্তিকলাপ দেখছেন। রাজভবনের কর্মচারীদের সঙ্গে কী সব করছে। মেয়েদের ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করছেন। আর প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে রাত্রি যাপন করে চলে গেলেন। যিনি সন্দেশখালি নিয়ে বড় বড় সন্দেশ দেন। কই রাজ্যপালের ব্যাপারে একটা সন্দেশ তো দিলেন না।
সন্দেশখালি নিয়ে ভাল নাটক তৈরি করেছিলেন। আসল তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আমি অনেকদিন ধরেই আপনাদের বলছিলাম এটা পরিকল্পনা। বিজেপির তৈরি করা নাটক।
নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আর আনবেন না। ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবে বলে দেয়নি। এক লাখ, ৫০ হাজারও কেউ পাননি। উনি রোজ বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন বিনামূল্যে গ্যাসের। একটা প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। দেশের লজ্জা।
বাংলায় আগামীদিনে কেউ উদ্বাস্তু থাকবেন না। সব উদ্বাস্তু পরিবার জমির দলির পাবে। চিরস্থায়ী ঠিকানা পাবে। ৪২ হাজার উদ্বাস্তু পরিবারকে আমরা জমির দলির দিয়েছি।
আমরা এখানে তাঁতিদের কত ভালবাসি। চারিদিকে তাঁতিদের রমরমা। শান্তিপুরের শাড়ি। আমি তো ঠিক করেছি বাংলার প্রতিটা ব্লকে ব্লকে একটা করে বাংলার তাঁতের শাড়ির দোকান খুলব। তাঁতিদের তৈরি শাড়ি সেখানে বিক্রি হবে।
২০২১ সালে আমরা বলেছিলাম তৃণমূল জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করব। করেছি। বলেছিলাম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেব। দিয়েছি। আমরা বলেছিলাম বিনা পয়সায় রেশন দেব। দিয়েছি। আমরা বলেছিলাম ১০ হাজার টাকা কৃষক ভাতা দেব। দিয়েছি। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার কথা বলেছিলাম সেটাও দিয়েছি। আমি যেটা বলি সেটা করি।
চাকদহ: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ঝড় তুলতে ফের নদিয়ায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর সমর্থনে চাকদহে করলেন সভা। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আক্রমণ শানালেন বিজেপির বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তাঁর সরকারের হাত ধরে চালু হওয়া একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়েও এবার কথা বলেন। প্রতিশ্রুতি দিলে যে তিনি কথা রাখেন, তাও বলেন সোচ্চারে। এদিকে ৭ তারিখ রাজ্যে তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। ১৩ তারিখ চতুর্থ দফায় ভোট রানাঘাট, কৃষ্ণনগরে। এদিন চাকদহের সভা থেকে মমতা বলেন..
নরেন্দ্র মোদীর ফুটো ভাঁড়। মিথ্যা কথা বলে রোজ প্রচার করছে। বলছে বিনা পয়সায় গ্যাস দিচ্ছি, বিদ্যুৎ দিচ্ছি। বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছি। সবই গ্যাস বেলুন। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে আমরা রেশন দিই। মোদী দেয় না। চ্যালেঞ্জ করে গেলাম। নিজের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রচার করছে। কিন্তু একশোদিনের কাজে গরিব লোকগুলিকে মজুরি দিল না। আমরা এখন থেকে কর্মশ্রী চালু করেছি। জব কার্ড হোল্ডাররা ৫০ দিনের কাজের গ্যারেন্টি দিচ্ছি। দিল্লির ভিক্ষা চাই না।
আমি এনআরসি কোনওদিন করতে দেব না। আপনাদের কোনও অধিকার কোনওদিন কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। অসমে বিজেপি ১৯ লক্ষ হিন্দুকে ঘর ছাড়া করে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিল। এসব বাংলায় হবে না। তাই আমায় গালাগালি দেয়। আমাদের টাকা বন্ধ করে দেয়। আমার কিছু যায় আসে না। আমি যখন বলছি এনআরসি করতে দেব না। তখন দেবই না।
কেন মুকুটমণি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে এল? ওরা সবাই জানে এ ঘটনা। লজ্জায় শিউরে ওঠে। এদের ভোটে দাঁড়ানোর মতো অধিকার আছে? ক্ষমতা আছে? কিচ্ছু নেই। মতুয়াদের ঠকিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে বলল মতুয়া ভোট দাও তোমাদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেব। ২০১৯ সালে বলল মতুয়া ভোট দেব তোমাদের নাগরিকত্ব দেব। ২০২১ সালে বললে সিএএ করে দেব। এখন ২০২৪ সালে বলছে একটা CAA নোটিফিকেশন করেছে। কেউ যায়নি। যে যাবে সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি হয়ে যাবে। তারমানে আপনাদের বিদেশি করার পরিকল্পনা করেছে। লজ্জা করে না?
কেন্দ্রের প্রতিনিধি মাননীয় রাজ্যপালের কীর্তিকলাপ দেখছেন। রাজভবনের কর্মচারীদের সঙ্গে কী সব করছে। মেয়েদের ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করছেন। আর প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে রাত্রি যাপন করে চলে গেলেন। যিনি সন্দেশখালি নিয়ে বড় বড় সন্দেশ দেন। কই রাজ্যপালের ব্যাপারে একটা সন্দেশ তো দিলেন না।
সন্দেশখালি নিয়ে ভাল নাটক তৈরি করেছিলেন। আসল তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আমি অনেকদিন ধরেই আপনাদের বলছিলাম এটা পরিকল্পনা। বিজেপির তৈরি করা নাটক।
নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আর আনবেন না। ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবে বলে দেয়নি। এক লাখ, ৫০ হাজারও কেউ পাননি। উনি রোজ বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন বিনামূল্যে গ্যাসের। একটা প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। দেশের লজ্জা।
বাংলায় আগামীদিনে কেউ উদ্বাস্তু থাকবেন না। সব উদ্বাস্তু পরিবার জমির দলির পাবে। চিরস্থায়ী ঠিকানা পাবে। ৪২ হাজার উদ্বাস্তু পরিবারকে আমরা জমির দলির দিয়েছি।
আমরা এখানে তাঁতিদের কত ভালবাসি। চারিদিকে তাঁতিদের রমরমা। শান্তিপুরের শাড়ি। আমি তো ঠিক করেছি বাংলার প্রতিটা ব্লকে ব্লকে একটা করে বাংলার তাঁতের শাড়ির দোকান খুলব। তাঁতিদের তৈরি শাড়ি সেখানে বিক্রি হবে।
২০২১ সালে আমরা বলেছিলাম তৃণমূল জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করব। করেছি। বলেছিলাম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেব। দিয়েছি। আমরা বলেছিলাম বিনা পয়সায় রেশন দেব। দিয়েছি। আমরা বলেছিলাম ১০ হাজার টাকা কৃষক ভাতা দেব। দিয়েছি। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার কথা বলেছিলাম সেটাও দিয়েছি। আমি যেটা বলি সেটা করি।