Nadia PHD Student’s Mysterious Death: উচ্চশিক্ষায় লুকিয়ে ‘মানবিকতার অভাব’, গবেষকের মর্মান্তিক পরিণতি সেদিকেই আঙুল তুলছে?
IISER: সোমবার দুপুরে ল্যাবের ভিতর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন শুভদীপ রায়। তাঁর সহপাঠীদের দাবি, মুখ থেকে গ্যাজলা বের হচ্ছিল। মুখ প্লাস্টিক দিয়ে প্যাঁচানো ছিল।
যদিও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা মুখ খোলা বা না খোলার ব্যাপার নয়। আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষায় গবেষণা করার সময় নানারকম মানবিকতার অভাব চোখে পড়ে। এক তো গবেষকরা যে বয়সে গবেষণা করতে আসেন এবং চাকরির বয়সের যে ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে তা নিয়ে গবেষকদের মনে একটা প্রশ্ন কাজ করে, আদৌ চাকরি পাবেন কি না। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে সে আতঙ্ক সবথেকে বেশি। তার মধ্যে যদি সুপারভাইজার বা পরিদর্শকের মানবিকতার অভাব দেখা যায় তা হলে তো খুবই অসহনীয় হয়ে দাঁড়ায়। অনেক পরিদর্শক মনে করেন, ছাত্র গবেষক তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেরও কাজ করবেন। অনেকে ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে উপহারও নেন। এগুলো তো নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আসা ছাত্রদের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।”
সোমবার দুপুরে ল্যাবের ভিতর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন শুভদীপ রায়। তাঁর সহপাঠীদের দাবি, মুখ থেকে গ্যাজলা বের হচ্ছিল। মুখ প্লাস্টিক দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। কোনওমতে উদ্ধার করে গারুলিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে। এদিকে এই ঘটনা নতুন মোড় দেয় আট বছর ধরে ইন্টিগ্রেটেড ফিজিক্সে গবেষণা করা শুভদীপের প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ছোট্ট নোট। সেখানে লেখা ছিল, চিরঞ্জিত মিত্র বলে এক অধ্যাপকের নাম। অভিযোগ, তাঁর তত্ত্বাবধানেই এই গবেষণা করছিলেন শুভদীপ। অভিযোগ, গাইডের কোনওরকম সাহায্য ছাড়াই তিনটি পেপার জমা দেন তিনি। কিন্তু ফাইনাল ইয়ারে পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যায় দমদমের মেধাবী পড়ুয়ার। তার জেরেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: বগটুইকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি সিবিআইয়ের, মুম্বই থেকে ধৃত চার