Nadia Extra Marital Affairs: প্রেমিকের সঙ্গে ফন্দি করে খুন শাশুড়িকে, অদৃষ্টের হাত থেকে রেহাই পেলেন না বাড়ির বৌ
Ranaghat Court: সালটা ২০১৭ সালের ২৪ অগাস্ট। একটি মামলা করেন ওই গৃহবধূর ভাসুর বিপুল বিশ্বাস। অভিযোগ ছিল তাঁর মা বীণাপাণি বিশ্বাসকে খুন করেছে তার ভাতৃবধূ অসীমা বিশ্বাস ও তার প্রেমিক দেবাশীস ওরাও।
নদিয়া: পুত্রবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক দেখে ফেলেছিলেন। ফল স্বরূপ বৌমা ও তার প্রেমিকের হাতেই অঘোরে প্রাণ যায় শাশুড়ির। সেই ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল তাদের। রানাঘাট মহকুমা আদালত সোমাবার এই রায় ঘোষণা করে।
কী ঘটেছিল? সালটা ২০১৭ সালের ২৪ অগাস্ট। একটি মামলা করেন ওই গৃহবধূর ভাসুর বিপুল বিশ্বাস। অভিযোগ ছিল তাঁর মা বীণাপাণি বিশ্বাসকে খুন করেছে তার ভাতৃবধূ অসীমা বিশ্বাস ও তার প্রেমিক দেবাশীস ওরাও। অভিযোগ, অসীমা বিশ্বাসের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল তাঁর প্রেমিক দেবাশীস ওরাওয়ের। আর এই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন তাঁর শাশুড়ি। বারবার এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেন পুত্রবধূকে। এর জেরেই রাগ হয়ে যার তাঁর। সেই কারণে শাশুড়িকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতলব করে অসীমা ও দেবাশীস।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ভারী জিনিস দিয়ে বিণাপাণি দেবীর মাথায় একের পর এক আঘাত করে খুন করে অসীমা ও তার প্রেমিক। পুলিশ তদন্তে নেমে বীণাপাণি দেবীর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লক্ষ্য করে। তখনই বারবার পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ করা হয়েছিল অসীমা ও তার প্রেমিক দেবাশীসের বিরুদ্ধে।
এরপর হাঁসখালি থানার পুলিশ তদন্তে নেমে অসীমা ও দেবাশীসকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে এই দুজনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রানাঘাট মহকুমা আদালত এই দুই জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার আদালত অসীমা বিশ্বাস ও দেবাশীস ওরাওকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালতের এই রায়ের খুশি মৃত বীণাপাণি দেবীর আত্মীয়-পরিজনেরা।
এই গোটা ঘটনায় নিয়ে দেবাশীস যদিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানিয়েছেন, তিনি নির্দোষ। আসল অপরাধীরা বাইরে ঘুরছে।
আরও পড়ুন: AMTA Student Death: ‘ব্যবস্থা তো আমিই নেব…’ কীসের ইঙ্গিত আনিসের বাবার?