AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: ‘বিরাটিতে থাকতাম, এদেশের কাগজপত্র কিছু নেই…’, লোটা-কম্বল নিয়ে বর্ডারে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি

বারোটা রাজ্যে এসআইআর (SIR) লাগু হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। তার মধ্যেই দেখা গেল এই ছবি। এক সময় বাংলাদেশিরা বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকে বসবাস করত। এবার তারা SIR এর ভয়ে বাংলাদেশে ফেরার হিড়িক পড়েছে।

Bangladesh: 'বিরাটিতে থাকতাম, এদেশের কাগজপত্র কিছু নেই...', লোটা-কম্বল নিয়ে বর্ডারে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি
বার্ডার পারাপারের চেষ্টাImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2025 | 3:48 PM
Share

হাকিমপুর: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্ট। সেখানে লোটা-কম্বল বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ’য়ে-শ’য়ে মানুষ। কেউ মাথায় বোঁচকা নিয়ে রয়েছেন। কারও কাছে বড়-বড় ট্রলি। কারও কাছে আবার ব্যাগ। অপেক্ষা, কখন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছবেন। জানা যাচ্ছে,SIR-এর ভয়ে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে পালাচ্ছেন তাঁরা। কেউ-কেউ আবার স্বীকারও করলেন, কোনও নথি-পত্র ছাড়াই থাকতে শুরু করেছিলেন ভারতে। রুটি-রোজগারের জন্যই নিজের দেশ ছেড়ে লুকিয়ে একপ্রকার ভারতে এসেছিলেন। আর টিভি৯ বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই এক্সক্লুসিভ ছবি।

বারোটা রাজ্যে এসআইআর (SIR) লাগু হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। তার মধ্যেই দেখা গেল এই ছবি। এক সময় বাংলাদেশিরা বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকে বসবাস করত। এবার তারা SIR এর ভয়ে বাংলাদেশে ফেরার হিড়িক পড়েছে। সোমবার দেখা গেল, স্বরূপনগর থানার ভারত বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তে দিয়ে শ’য়ে শ’য়ে বাংলাদেশি যাঁরা বেআইনিভাবে এখানে বসবাস করছিলেন তাঁরা ভারত ছাড়ছেন। পুরুষ-মহিলা শিশু নিয়ে মাথায় আসবাবপত্র ও লোটা কম্বল নিয়ে সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন।

এ দিন, হাকিমপুর চেকপোস্টে প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি সীমান্ত পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ইতিমধ্যে ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত রক্ষ্মী বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদেরকে আটকেছেন। বৈধ কাগজপত্র দেখার চেষ্টা করছে। এদিকে, এই ছবি দেখে রীতিমতো বিস্মিত স্বরূপনগরের মানুষ।

বাংলাদেশি সাবিনা পারভিন স্বীকার করলেন তিনি এখানে বেআইনিভাবে বাস করছিলেন। বললেন, “বাংলাদেশে বাড়ি। বিরাটি থাকতাম। আমার কাছে কাগজপত্র নেই, বেআইনিভাবে থাকতাম।” আরও একজন বললেন, “চিনারপার্কে থাকতাম। আধারকার্ড নেই আমার কাছে। এখানে এসেছিলাম পেটের দায়ে। লোকের বাড়ি কাজ করে কিছু রোজগার হত।”